ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার কামারখালী ইউনিয়নের মধুমতি নদীর ভাঙ্গনের করাল গ্রাসে পানি বৃদ্ধি ও পানির টানে ৫টি গ্রামের কৃষি জমি সহ ঘরবাড়ী নদী গর্ভে বিলিন হয়ে যাচ্ছে । যা দেখা ও নিরবে সহ্য করা ছাড়া প্রতিরোধ করার কেহ নাই। গ্রাম গুলো হলো গয়েশপুর , বকসিপুর , জারজরনগর, বিজয় নগর, চরকসুন্দি সহ আরো আড়পাড়া ও স্বরবরাজ গ্রাম । এই সকল গ্রামে দুটি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, ১টি হাই স্কুল, ৭টি মসজিদ, ১টি মাদ্রাসা এই সকল প্রতিষ্ঠান গুলো একদিন ধ্বংস হয়ে যাবে । এইা গুলো ঠেকাতে হলে নদী বাধের একান্ত প্রয়োজন। তারই লক্ষে গয়েশপুর গ্রামের আকবর মন্ডল, নজরুল ইসলাম, বাহের ফকির সহ আরো নারী-পুরুষ বলেন আমাদের এই কয়েকটি গ্রামে প্রায় ৫০০ পরিবারের বসবাস । আমাদের গ্রাম গুলো নধী ভাঙ্গন এলাকা প্রতি বছর নদীর পানি বৃদ্ধি ও পানির টানে অনেক কৃষিজমি ও ঘরবাড়ী নদী গর্ভে চলে যায় । এই নদী ভাঙ্গন চলমান থাকলে এই পাচটি গ্রাম একদিন নদীর পানির তলে তলিয়ে যাবে । এ ছাড়া আরও গ্রাম হারিয়ে গেছে । তখন পানি আর ভাঙ্গন ছাড়া মানুষ ও কৃষি জমি কিছুই থাকবে না । গ্রামগুলোতে চলে আসবে মানুষ হাহাকার গ্রাম । এ ব্যপারে ফরিদপুর জেলার বোয়ালমারী অঞ্চলের পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী সন্তোষ কর্মকারকে জানালে তিনি বলেন ভাঙ্গন রোধের ব্যপারে আমরা উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষের আলাপ-আলোচনা করছি কি করা যায়। ভাঙ্গন রোধের ব্যাপরে কামারখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রাকিব হোসেন চৌধুরীকে জানালে তিনি বলেন আমি চাই এই গ্রামগুলো ও কৃষিজমি এবং ঘরবাড়ী বাচাঁতে এবং প্রতিষ্ঠানগুলো রক্ষার্থে সরকারের আশু প্রতিকারের ব্যবস্থা করা হোক। তবে গয়েশপুর মুসলীহুল উম্মাহ্ কওমী মাদ্রাসার তাওহীদুল ইসলাম বলেন মধুমতি নদীর ভাঙ্গন এই ভাবে বলবৎ থাকলে এই সকল গ্রামের মানুষের বসতি ও কৃষিজমি কিছুই থাকবে না এমনি সুনাম অর্জনকারী এই মাদ্রাসা একটি ভেঙ্গে যাবে মধুমতি নদীর করাল গ্রাসে । তারই আলোকে মাদ্রাসার ইয়াসির আরাফাত তার মাদ্রাসার ছাত্র এবং গ্রামের বসতিদের নিয়ে মধুমতি নদীর ভাঙ্গন রোধে নদীর কুলে সমাবিত হয়ে দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন এবং সরকারের কাছে নদীর ভাঙ্গন রোধে স্থায়ী বাধের জন্য গ্রামবাসীর পক্ষ থেকে জোরালো দাবী জানান ।