জাতীয় আইনগত সহায়তা সংস্থার (লিগ্যাল এইড) মাধ্যমে সরকারি খরচে অসচ্ছল বিচারপ্রার্থীদের ৪ লাখ ৪২ হাজার ৯৬ টি পরামর্শ সেবা দেয়া হয়েছে।
জাতীয় আইনগত সহায়তা সংস্থার ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।
২০০৯ সাল থেকে ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত লিগ্যাল এইডের মাধ্যমে আইনি সহায়তার তথ্য প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
এতে বলা হয়, অসচ্ছল বিচারপ্রার্থীদের ২১৭ কোটি ৫৯ লাখ ৬১ হাজার ৮৫৮ টাকা ক্ষতিপূরণ আদায় করে দিয়েছে লিগ্যাল এইড।
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, সংস্থার অধীনে সরকারি খরচে লিগ্যাল এইডে মোট ১১ লাখ ১০ হাজার ৩৬ জনকে আইনি সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। এতে আরো বলা হয়, ২০০৯ সাল থেকে ২০২৪ সালের মার্চ পর্যন্ত সরকারি খরচে লিগ্যাল এইডে অসচ্ছল বিচারপ্রার্থীদের আইনি সহায়তা দেয়া হয়েছে ৪ লাখ ৩ হাজার ২০১ মামলায়। এর মধ্যে আইনি সহায়তার মাধ্যমে ২ লাখ ৩ হাজার ৩২ টি মামলা নিস্পত্তি হয়েছে। এ সময়ের মধ্যে আইনি পরামর্শ সেবা দেয়া হয়েছে ৪ লাখ ৪২ হাজার ৬৯৬ টি।
সেবা গ্রহণকারীদের মধ্যে সুপ্রিমকোর্ট লিগ্যাল এইড অফিসের মাধ্যমে ২৮ হাজার ১৬ জন, দেশের ৬৪টি, জেলার লিগ্যাল এইড অফিসের মাধ্যমে ৮ লাখ ৭৪ হাজার ৬৬১ জন, ঢাকা ও চট্রগ্রাম শ্রমিক আইনি সহায়তা সেলের মাধ্যমে ২৮ হাজার ৮৫৩ জন এবং জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থার নির্ধারিত হটলাইন কল সেন্টার ১৬৪৩০ নম্বরে (টোল ফ্রি) ১ লাখ ৭৮ হাজার ৫০৬ জন বিনামূল্যে আইনি সহায়তা পেয়েছেন। জাতীয় হেল্পলাইন সৃষ্টির আগে হটলাইনের মাধ্যমে ১৭ হাজার ৩২৮ জনকে সরকারি খরচায় আইনি সেবা প্রদান করা হয় বলে প্রতিবেদনে প্রকাশ করা হয়।
লিগ্যাল এইড-এ বিকল্প বিরোধ নিস্পত্তি সেবার (এডিআর) মাধ্যমে মামলা নিস্পত্তি হয়েছে ১ লাখ ২৯ হাজার ৩৮ টি। বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির উদ্যোগ নেয়া হয়েছে ১ লাখ ৪২ হাজার ৬১২ টি মামলায়। উপকার ভোগীর সংখ্যা ২ লাখ ৪৩ হাজার ৫১২ জন। লিগ্যাল এইডের মাধ্যমে কারাগারে আইনি সহায়তা প্রাপ্ত কারাবন্দির ১ লাখ ২১ হাজার ৬৩০ জন।
দেশে আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল, অসমর্থ বিচারপ্রার্থী জনগণকে আইনি সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে ‘আইনগত সহায়তা প্রদান আইনের’ অধীনে সরকারি খরচায় এ সেবা দেয়া হয়।
ইতোমধ্যে নিন্ম আদালতে ফৌজদারি মামলায় আসামি পক্ষে আইনজীবী না থাকলে লিগ্যাল এইডকে আইনজীবী দিয়ে সহায়তার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি।