গত রোববার রাজধানীর ফার্মগেটের ইন্দিরা রোডের টিএন্ডটি মাঠ সংলগ্ন ফুটপাতের কয়েকটি দোকানে এবং পার্শ্ববর্তী খাবার হোটেল আকস্মিক ভাঙচুর চালানো হয় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায়, হঠাৎ এক যুবক লাঠি নিয়ে হোটেলে প্রবেশ করে ভাংচুর চালায়।

স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, লাঠি হাতে থাকা যুবক ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মিথুন ঢালী। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীদের সাক্ষ্য অনুযায়ী,মিথুন ঢালী আনুমানিক সকাল ৬ঃ২০ মিনিটে হাতে একটি লাঠি নিয়ে টিএন্ডটি মাঠ সংলগ্ন খাবার হোটেলের পশ্চিম সাইডের জানালার থাইগ্লাস ভেঙে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। ওই সময় হোটেলের ভেতরে খামারবাড়ি সংলগ্ন ইসলামিয়া চক্ষু হাসপাতালের কয়েকজন রোগী এবং রোগীর স্বজনরা নাস্তা খাওয়ার জন্য টেবিলে বসে ছিল। হঠাৎ হামলায় তারা ভয় পেয়ে যায়। জানালার গ্লাস ভাঙার পর মিথুন ঢালী হোটেলে প্রবেশ করে এবং স্টাফদের মারধর করে হোটেল থেকে বের করে দেয় এবং নাস্তার জন্য অপেক্ষারত কাস্টমারদের বের করে দিয়ে হোটেলের মূল দরজা বন্ধ করে দেয়। তার পাশেই ফুটপাতে চায়ের দোকানদার ও হকারদের লাঠি দিয়ে মারধর করে বলেও অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়রা জানান, ইন্দিরা রোড লেগুনা স্ট্যান্ডে যানবাহনেও ভাংচুর চালায় দুবৃত্তরা। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সাধারণ পথচারীরা বিষয়টি জিজ্ঞাসা করতে আসলে তাদেরও মারধর করা শুরু করে। এক পর্যায়ে বিক্ষুব্ধ জনতা, লেগুনার যাত্রী,হেল্পার- ড্রাইভাররা এবং ফুটপাতের হকাররা তাকে ঘিরে ধরে ময়লার ডাস্টবিনের পাশের রাস্তায় গণধোলাই দেয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক চায়ের দোকানদার বলেন,মিথুন ঢালী প্রায়ই চাঁদার জন্য তাদের দোকান ভাঙচুর করে। এদিনও তাদের কাছে চাঁদা চেয়েছিল। চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে মারধর করে।
এই ঘটনার কিছুক্ষণের মধ্যেই আনুমানিক ২৫-৩০ জন সদস্য ইন্দিরা রোডে সিরিয়ালে দাঁড়িয়ে থাকা লেগুনাগুলোতে ভাংচুর করে এবং পাশের বিকাশের দোকানে ভাঙচুর করে। তারা আনুমানিক ৩০-৩২ টি লেগুনায় ভাঙচুর চালায় এবং কয়েকজন ড্রাইভার-হেলপারদের মেরে আহত করে। প্রত্যক্ষদর্শীদের সাক্ষ্যমতে, গাড়ি ভাঙচুর এর একপর্যায়ে মিথুন ঢালীর সাথে থাকা কিছু অতি উৎসুক সদস্যরা রাস্তার পাশে পার্কিং করা একটি প্রাইভেট জিপ গাড়ি যার রেজিস্ট্রেশন নম্বর ঢাকা মেট্রো-ঘ-১১-৬৭২৮,গাড়িটি ভাঙচুর করে। পরবর্তীতে জানা যায়, ওই গাড়িটি মিথুনের ব্যক্তিগত গাড়ি। এসব বিষয়ে মিথুনের বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি। তদন্ত করে প্রকৃত দোষীদের শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে স্থানীয়রা।