কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সমন্বিত ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে কৃষি যান্ত্রিকীকরণ প্রকল্পের সহকারী হিসাব রক্ষক কর্মকর্তা আরমান মিয়ার বিরুদ্ধে তাসনিম আক্তার মিম নামের এক নারীকে হেনস্তার অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি এ ঘটনায় ওই নারী প্রতিকার চেয়ে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের নিকট লিখিত অভিযোগ করেছেন। এরপর গত ২ জুন অভিযোগটি আমলে নেয় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। এরপর পরিকল্পনা, প্রকল্প বাস্তবায়ন ও আইসিটি উইংয়ের উৎপাদন অর্থনীতিবিদ (পলিসি প্ল্যানিং) মো. শাফীয়ার রহমানকে আহবায়ক করে গত ১ আগস্ট ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। কমিটির বাকি সদস্যরা হলেন প্রশাসন ও অর্থ উইংয়ের কল্যাণ কর্মকর্তা মো. মাজেদুল ইসলাম ও প্রশিক্ষণ উইংয়ের গবেষণা কর্মকর্তা (প্রশিক্ষণ) মো. জিয়াউর রহমান। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কৃষিবিদ বাদল চন্দ্র বিশ্বাস স্বাক্ষরিত অফিস আদেশে তদন্ত কমিটিকে ১০ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সম্বলিত ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে কৃষি যান্ত্রিকীকরণ প্রকল্পের সহকারী হিসাব রক্ষক কর্মকর্তা আরমান মিয়া গত ২ বছর যাবৎ বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ভুক্তভোগী নারী তাসনিম আক্তার মিমের সাথে প্রথমে রাজধানীর মিরপুরে ভাড়া বাসায় এবং পরে মরিপুরী পাড়ার ভাড়া বাসায় একাধিকবার শারিরীক সম্পর্কে লিপ্ত হন। সম্পর্কের এক পর্যায়ে নারীটি সন্তানসম্ভবা হওয়ায় মো. আরমান মিয়া মিরপুরের একটি বেসরকারি ক্লিনিকে মেয়েটিকে নিয়ে গিয়ে সন্তানটি নষ্ট করতে বাধ্য করেন বলে অভিযোগ সূত্রে জানা যায়। ভুক্তভোগী নারী তাসনিম আক্তার মিমের বাড়ি নরসিংদীর রায়পুরায়। চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ২ বছর আগে ঢাকার মিরপুরে ভাড়া বাসায় তোলে এরপর বিভিন্ন সময়ে তাকে শারীরিক ও মানসিক ভাবে হেনস্তা করে এই সম্পর্কের এক পর্যায়ে গোপনে শারীরিক সম্পর্কের বিভিন্ন ভিডিও ও স্থির চিত্র ধারণ করে এবং তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয় মো. আরমান মিয়া। বিশেষ মুহূর্তের ছবি ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম হোয়াটসঅ্যাপে কথা বলার তথ্য আমাদের হাতে এসেছে। এতে দেখা যায় মো. আরমান মিয়া ও তাসনিম আক্তার মিম তারা দুজনে অন্তরঙ্গ অবস্থায় রয়েছে। ভুক্তভোগী নারীর এক আত্মীয় নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, মো. আরমান মিয়া যাকে আমরা সুমন নামে চিনি সে পরিকল্পিত ভাবে তাসনিম আক্তার মিমকে ফাঁসানোর জন্য অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ছবি তলেন ও ভিডিও ধারণ করেছেন। যা পরবর্তীতে ভুক্তভোগী নারীর হোয়াটসঅ্যাপে পাঠানো হয়। এমনকি বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে এ সংক্রান্ত সংবাদ প্রকাশের হুমকিও দিয়েছেন তিনি। প্রতিনিয়ত মো. আরমান মিয়া সুচতুরভাবে ভুক্তভোগী নারীর সাথে যোগাযোগ করে যাচ্ছে যেন সে কোন ভাবেই তদন্ত কমিটির নিকট তার সিকারক্তি না দেয়। এ বিষয়ে সমন্বিত ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে কৃষি যান্ত্রিকীকরণ প্রকল্পের সহকারী হিসাব রক্ষক কর্মকর্তা আরমান মিয়া বলেন, তদন্ত কমিটি গঠন হয়েছে, কমিটি তদন্ত করে যে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে তা মাথা পেতে নেব।