ফেনীতে মঞ্জুর আলম নামের এক অটোরিকশা চালককে হত্যার ঘটনায় সাবেক স্ত্রীসহ দুইজনকে চট্টগ্রাম থেকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। রবিবার বিকেলে নগরীর আকবর শাহ্ থানার বিশ্ব কলোনী এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। তারা হলেন ফেনী জেলার সদর থানার কেরানিয়া গ্রামের মৃত নুরুজ্জামানের ছেলে মো. আইউব খান ওরফে তারা (৩০) এবং তার স্ত্রী সাফিয়া আক্তার মনি (২৬)। সোমবার দুপুরে গণমাধ্যমে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছেন র্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. শরীফ উল আলম। র্যাব জানিয়েছে, হত্যার শিকার মঞ্জুর আলম ফেনী সদর থানার লেমুয়া মাস্টারপাড়া এলাকার বাসিন্দা। মঞ্জুর পেশায় অটোরিকশা চালক ছিলেন। পূর্ব পরিচয়ের সূত্র ধরে মঞ্জু বছর দেড়েক আগে সাফিয়া আক্তার মনিকে বিয়ে করেন। আসামি সাফিয়া আক্তার মনি মঞ্জুর দ্বিতীয় স্ত্রী ছিলেন। কিন্তু বিয়ের পর পারিবারিক কলহের কারণে মঞ্জুর আলম মনিকে তালাক দেন। এরপর মনির সঙ্গে আইউব খান তারার বিয়ে হয়। তালাক দেওয়ার জের ধরে মনি সাবেক স্বামী মঞ্জুর আলমকে হত্যার হুমকি দিয়ে আসছিলেন। গত ১০ জুন পুলিশ মঞ্জুর আলমের মরদেহ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় গত ১২ জুন মঞ্জুর আলমের প্রথম স্ত্রী বাদী হয়ে ফেনী সদর মডেল থানায় তিন জনকে এজাহারনামীয় এবং তিন চার জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা দায়ের করেন। মামলার পর থেকে আইউব খান পলাকত ছিলেন। পরে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে মামলার এজাহারনামী প্রধান আসামি আইউব খান তারা ও তার স্ত্রী মনিকে চট্টগ্রাম মহানগরীর আকবর শাহ থানার বিশ্ব কলোনী থেকে গ্রেফতার করা হয়।