ভৈরবে অটোরিকশা ছিনতাই করে চালককে খুনের দায়ে চারজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত। গত বুধবার বিকালে আসামিদের উপস্থিতিতে এই রায় প্রদান করেন কিশোরগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ (ভারপ্রাপ্ত) মো. জান্নাতুল ফেরদৌস ইবনে হক। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলো ভৈরব উপজেলার ছনছড়া গ্রামের লিটন মিয়া, একই গ্রামের মো. রব্বানী, একই উপজেলার ভাটি কৃষ্ণনগর গ্রামের জুয়েল মিয়া ও বাঁশগাড়ি গ্রামের মো. কাজল মিয়া। তাছাড়া বিচারক প্রত্যেককে দুই লাখ টাকা জরিমানা এবং জরিমানার অর্থ আদায় করে ভিকটিমের স্ত্রীকে প্রদানের আদেশ প্রদান করেছেন বলে জানান কিশোরগঞ্জ জজকোর্টের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট আবু নাসের মো. সঞ্জু। মামলার বিবরণে প্রকাশ, ২০২০ সালের ২২ সেপ্টেম্বর রাতে ভৈরব উপজেলা সদরের দুর্জয় মোড় থেকে বাদল খন্দকার ওরফে সোহেলের অটোরিকশায় কুলিয়ারচর যাবে বলে যাত্রীবেশে কয়েকজন ছিনতাইকারী ওঠে। অটোরিকশাচালকের বাড়ি কুলিয়ারচর উপজেলার মাইজপাড়া গ্রামে। পরদিন সকালে ভৈরবের কালিকাপ্রসাদ নামক স্থানে কিশোরগঞ্জ-ভৈরব আঞ্চলিক সড়কের পাশে একটি পতিত জমি থেকে অটোরিকশা চালকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। দুর্বৃত্তরা তার অটোরিকশা ও মোবাইল ফোনটি ছিনতাই করে নিয়ে যায়। এ ব্যাপারে ভৈরব থানায় নিহতের পিতা বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। পুলিশ তদন্তে নেমে প্রথমে ছিনতাইকৃত মোবাইল ফোনটি উদ্ধার এবং মোবাইলের সূত্র ধরে চার আসামিকে গ্রেফতার করে। তদন্তশেষে পুলিশ উল্লেখিত আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে। তন্মধ্যে লিটন মিয়া, জুয়েল মিয়া ও কাজল মিয়া আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৪৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছে বলে পিপি জানান। রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন পিপি অ্যাডভোকেট আবু নাসের মো. সঞ্জু। আসামিপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মিজানুর রহমান ও অ্যাডভোকেট রিয়াজুল কবীর সেবক। কোর্ট ইন্সপেক্টর মো. শামছুল আলম সিদ্দিকী রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।