দিনাজপুরের বীরগঞ্জে রেজিনা বেগম (৭৫) নামের এক বৃদ্ধাকে গলাকেটে হত্যা মামলায় তিন জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত দা ও চুরি হওয়া জমির একাধিক দলিল উদ্ধার করে পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হলেন বীরগঞ্জ উপজেলার ধনগাঁও পশ্চিম জুম্মা হাট এলাকার বাবুল মিয়ার ছেলে। হাসিম মিয়া( ৪৩) একই গ্রামের রেনু মিয়ার ছেলে জাকির হোসেন (২৬) এবং বীরগঞ্জ উপজেলার দেউলি গ্রামের কাজল মিয়ার ছেলে রমজান আলী (২৫) হত্যাকারীরা একে অপরের চাচা ভাতিজা ও ভাগিনা। মঙ্গলবার (২৫ জুন) দুপুর ২ টায় দিনাজপুর পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করেন দিনাজপুর পুলিশ সুপার শাহ ইফতেখার আহমেদ বলেন গত ৬ জুন ২০২৪ দিনগত রাতে দিনাজপুর জেলার বীরগঞ্জ উপজেলাধীন ধনগাঁও পশ্চিম জুমার হাট এলাকার সব দূর মিয়া তিনি স্ত্রী রোজিনা বেগম ৭৫ কে গভীর রাতে একদল দুর্বৃত্ত নিজের শয়নকক্ষে জবাই করে হত্যা করার পর নিজ ঘরের প্লেন সিটের ট্রাঙ্কের তালা ভেঙ্গে গরু ও গম বিক্রির নগদ একলক্ষ সাতান্ন হাজার টাকা ও সাত আনা ওজনের স্বর্ণালংকার ও বাড়ির প্রয়োজনীয় জমির দলিল পত্র লুট করে নিয়ে যায়। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে হত্যাকাণ্ডের বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করেন। তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে এ হত্যাকাণ্ডের মূল হত্যাকারীকে গ্রেফতারের জন্য অভিযান শুরু করেন। দিনাজপুর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল শেখ জিন্নাহ আল মামুন তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে বীরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মুজিবুর রহমান ও এই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আশরাফুল আলম অভিযান পরিচালনা করে হত্যাকারী জাকির হোসেন (২৬) কে গ্রেফতার করেন। গ্রেফতারকৃত জাকির হোসেন কে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এবং তার দেওয়া তথ্যমতে আরো দুই আসামি হাসিম মিয়া ও রমজান আলীকে পুলিশ গ্রেফতার করে। তারা এই হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেন। ভিকটিম রেজিনা বেগম ও হত্যাকারীরা একে অপরের আত্মীয়। এটি মূলত পারিবারিক জমি-জমার বিরোধ থেকেই এই হত্যার পরিকল্পনা করা হয়। রেজিনা বেগম এই পরিবারের সমস্ত জমির কাগজপত্র সংরক্ষণ করেন। জমির দলিল হাতে থাকলেই জমি পাওয়া যাবে সেই ধারণা থেকেই প্রথমে তারা জমির কাগজপত্র চুরি করার উদ্দেশ্যেই য সেই বাড়িতে ঢুকে পড়েন। জমির দলিল ও টাকা পয়সা চুরি করার এক পর্যায়ে রেজিনা বেগম আটকৃত ব্যক্তিদেরকে চিনতে পারায়। হত্যা করেছে তারা । একপর্যায়ে মৃত্যু নিশ্চিত করার জন্য একটি দা দিয়ে গলা কেটে হত্যার নিশ্চিত করার পর হত্যাকারীরা পালিয়ে যায়। আটককৃতদের আদালতে সোপর্দ করার পর আরোও তথ্য জানার জন্য রিমান্ড আবেদন করবে পুলিশ। এসময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার প্রশাসন ও অর্থ (সদ্য পুলিশ সুপার পদোন্নতিপ্রাপ্ত) মমিনুল করিম, বীরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মুজিবুর রহমান সহ পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।