র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকেই দেশের সার্বিক আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে সব ধরণের অপরাধীকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। র্যাব নিয়মিত জঙ্গী, সন্ত্রাসী, সংঘবদ্ধ অপরাধী, অস্ত্রধারী অপরাধী, মাদক ব্যবসায়ী, ছিনতাইকারীসহ বিভিন্ন কিশোর গ্যাং গ্রুপের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে আসছে। র্যাবের এই আভিযানিক কার্যক্রম ইতোমধ্যেই জনগণের আস্থা অর্জনে সক্ষম হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে কিশোর গ্যাং কালচার সারাদেশে ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। নানা অপরাধমূলক কর্মকান্ডে কিশোররা জড়িয়ে পড়ছে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তাদের অপরাধের ধরণও পাল্টে যাচ্ছে যেমন, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার, চাঁদাবাজি, চুরি, ছিনতাই, ডাকাতি, মাদক ব্যবসা ও নাশকতা থেকে শুরু করে হত্যাসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে কিশোররা। এরই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার র্যাব-১০ এর একটি আভিযানিক দল গোপন তথ্যের ভিত্তিতে রাজধানী ঢাকার যাত্রাবাড়ী এলাকায় একটি অভিযান পরিচালনা করে “কিশোর গ্যাং” লিডার পিয়াল বাহিনীর সেকেন্ড ইন কমান্ড মুরগি সুমনসহ কিশোর গ্যাং এর ১৩ (তের ) সদস্যকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিদের নাম ১। মোঃ সুমন ২। আব্দুল মতিন, ৩। মোঃ রাসেল , ৪। শুভ চন্দ্র দে, ৫। মোঃ সোহেল, ৬। মোঃ আকাশ, ৭। মোঃ রাসেল, ৮। রনি হোসেন, ৯। জাহাঙ্গীর আলম, ১০। মোঃ বিল্লাল হোসেন, ১১। মোঃ আল-আমিন, ১২। সোহান, ১৩। মোঃ সাজু বলে জানা যায়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, গ্রেফতারকৃতরা “কিশোর গ্যাং” লিডার পিয়াল বাহিনীর সক্রিয় সদস্য। তারা পিয়াল এবং পিয়াল বাহিনীর সেকেন্ড ইন কমান্ড মুরগি সুমনের নেতৃত্বে রাজধানী ঢাকার যাত্রাবাড়ী থানার বিভিন্ন এলাকায় জনবিরল এমনকি জনসমাগমপূর্ণ স্থানে একাকী পথচারীদের আকস্মিকভাবে ঘিরে ধরে আশেপাশের কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই দেশীয় অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে জোরপূর্বক মানিব্যাগ, টাকা-পয়সা, স্বর্ণালংকার, মোবাইল হ্যান্ডসেট, ল্যাপটপসহ সাথে বহন করা দ্রব্যসামগ্রীর ব্যাগ প্রভৃতি ছিনতাই করে দ্রুত পালিয়ে যেত। গ্রেফতারকৃত কিশোর অপরাধীরা স্বীকার করে যে, চুরি/ছিনতাই ছাড়াও তারা মাদক সেবন, খুচরা মাদকের ব্যবসা, চাঁদাবাজি, ইভটিজিং, পাড়া-মহল্লায় মারামারি এবং তারা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে নানা ধরনের অসামাজিক ও অশ্লীল টিকটক ভিডিও তৈরি করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করে আসছিল। প্রায়ই তারা এলাকায় প্রভাব বিস্তারকল্পে দলবদ্ধ হয়ে সংঘাত সৃষ্টি ও ভয়ভীতি দেখিয়ে ত্রাসের পরিবেশ সৃষ্টি করে সাধারন মানুষের চলাচলে ব্যাপক সমস্যা সৃষ্টি করে আসছিল বলে জানা যায় । গ্রেফতারকৃত ১৩ জন কিশোর গ্যাং এর বিরুদ্ধে যাত্রাবাড়ী থানায় পৃথক পৃথক ছিনতাই মামলা রুজু করতঃ হস্তান্তর করা হয়েছে।