খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭৩ শিক্ষকের নিয়োগ সংক্রান্ত জটিলতা সমাধান, ৩৯ শিক্ষকের প্রমোশন নিশ্চিতসহ তাদের অর্থনৈতিক ক্ষতিপূরণের দাবিতে গতকাল একাডেমিক ডিন ও বিভাগীয় কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন সকল শিক্ষকরা। একই সঙ্গে কর্মবিরতি পালন করেছেন তারা। গত সোমবার সকালে বিক্ষুব্ধ শিক্ষকদের কর্মবিরতি চলাকালে পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী কার্যালয়গুলোতে তালা ঝুলিয়ে সেনবলে নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. মোঃ আশিকুল আলম। এ সময়ে তিনি বলেন, আমাদের পুনর্মূল্যায়ন কমিটি ৭৩ জন শিক্ষকের সকল ফাইল ও নিয়োগের বৈধতা যাচাই বাছাই করা হলেও দুই মাস ধরে প্রতিবেদনটি মন্ত্রণালয়ে পড়ে রয়েছে। যার ফলে আমরা প্রতিনিয়ত সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্নসহ আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি। এ সমস্ত বিভিন্ন সমস্যার প্রেক্ষিতে দীর্ঘ ১১ মাস স্থগিত রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৬ জন প্রভাষকের পদোন্নয়ন। গত ৮ অক্টোবর থেকে আমরা কর্মবিরতিসহ বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করলেও উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে এখনো কোন সাড়া না মেলার কারণে আমরা খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালনের শিক্ষকগণ বাধ্য হয়েছি আজ ডিন অফিসে তালা ঝুলাতে। উল্লেখ্য গত সোমবার খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭৩জন শিক্ষকের নিয়োগ সংক্রান্ত জটিলতার দ্রুত সমাধানের লক্ষে নগরীতে মানববন্ধন কর্মসূচি অব্যাহত রাখি শিক্ষক সমিতি। এখন আমাদের একমাত্রই দাবি অবিলম্বে সকল শিক্ষকের নিয়োগ সংক্রান্ত জটিলতা নিরসনসহ খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৮ জন শিক্ষকের প্রমোশন নিশ্চিত করা ও তাদের অর্থনৈতিক ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত করার জন্য শিক্ষকবৃন্দরা অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি ঘোষনা অব্যাহত রাখবে। শিক্ষকরা দৈনিক নবচেতনার এ প্রতিনিধিকে জানান এখন পর্যন্ত স্থগিত আছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল ক্লাস ও পরীক্ষা। গত ৩ আগস্ট তারিখে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭৩ জন শিক্ষকের নিয়োগ বাতিলের ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃপক্ষ। যেটি পরবর্তীতে একটি বিশেষ কমিটির মাধ্যমে পুনর্মূল্যায়ন করা হয়। এ সময়ে খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি মোঃ আসাদুজ্জামান জানান, কয়েকজন ব্যক্তি এ জটিলতা সৃষ্টির জন্য দায়ী। আমাদের ৩৯ শিক্ষকের পদোন্নয়ন হচ্ছে না এ জটিলতার জন্য। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন থেকে জন করে মন্ত্রণালয়ের কর্তাব্যক্তিরা আমাদের এ সমস্যাটা আমলে নিচ্ছেন না। আমাদের দাবী অবিলম্বে আদায় না হলে আগামীতে প্রশাসনভবনে তালা ঝুলানোসহ আমরণ অনশন কর্মসূচি আরোও বেগবান হবে। এই পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালনের সকল শিক্ষক একযোগে কর্মবিরতিতে যাওয়ায় কারণে স্থবির হয়ে আছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল কার্যক্রম।