বিশ্ব পরিবেশ দিবস-২০২৩ উপলক্ষে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স ডিসিপ্লিনের অধীনে পরিচালিত এনভায়রনমেন্টাল এ্যাওয়ারনেস ক্লাবের উদ্যোগে আন্তঃডিসিপ্লিন বিতর্ক প্রতিযোগিতায় বায়োটেকনোলজি এন্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং (বিজিই) ডিসিপ্লিন চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে। প্রতিযোগিতায় প্রথম রানারআপ হয় ফিশারিজ এন্ড মেরিন রিসোর্স টেকনোলজি (এফএমআরটি) ডিসিপ্লিন এবং দ্বিতীয় রানারআপ হয় নগর ও গ্রামীণ পরিকল্পনা (ইউআরপি) ডিসিপ্লিন। যৌথভাবে শ্রেষ্ঠ বক্তা নির্বাচিত হন বিজিই ডিসিপ্লিনের রাজশ্রী দাস সৃজা ও এফএমআরটি ডিসিপ্লিনের মেহনাজ আফরিন খান ঝিলিক। সংসদীয় পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত এ প্রতিযোগিতায় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০টি ডিসিপ্লিন বিভাগ অংশ গ্রহণ করে। গত ১৭ সেপ্টেম্বর (রবিবার) বিকালে আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু একাডেমিক ভবনের সংশ্লিষ্ট ডিসিপ্লিনের ক্লাস রুমে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন। এ সময়ে তিনি তার বক্তৃতায় বলেন, বিতর্ক প্রতিযোগিতার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা যুক্তিতর্ক দিয়ে বিচার বিশ্লেষণ করার ক্ষমতা অর্জন করতে পারে। উপাচার্য শিক্ষার্থীদের মেধা বিকাশের জন্য উক্ত প্রতিযোগিতার নিয়মিত আয়োজনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। একই সাথে তিনি বিজয়ীদের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান। উক্ত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জীববিজ্ঞান স্কুলের ডিন প্রফেসর ড. আবুল কালাম আজাদ। ডিসিপ্লিন প্রধান প্রফেসর ড. আবদুল্লাহ হারুন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে এ সময়ে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ডিসিপ্লিনের সহকারী অধ্যাপক ও এনভায়রনমেন্টাল এ্যাওয়ারনেস ক্লাবের কো-অর্ডিনেটর সাদিয়া ইসলাম মৌ। বিতর্ক অনুষ্ঠান শেষে একই স্থানে ডিসিপ্লিনের সিনিয়র শিক্ষক প্রফেসর ড. দিলীপ কুমার দত্তের অবসরজনিত বিদায় সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। বিদায়ী শিক্ষকের হাতে ডিসিপ্লিনের পক্ষ থেকে প্রধান অতিথি হিসেবে সম্মাননা ক্রেস্ট তুলে দেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন। এসময়ে তিনি বলেন, একজন শিক্ষকের কখনো বিদায় হয় না। শিক্ষক মৃত্যুর আগের মুহূর্ত পর্যন্ত শিক্ষকই থাকেন। তার সাথে আমার অনেক স্মৃতি জড়িয়ে থাকার পাশাপাশি তার অবসরে আমি একজন প্রকৃত বন্ধুকে আজ হারালাম এবং তার সাথে গবেষণার কাজ করে অনেক কিছু শিখেছি। মানুষ হিসেবে তিনি অন্যদের জন্য একটি উদাহরণও আদর্শের ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন হৃদয়ের মানুষ ছিলেন। তার আদর্শের আলোতে শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি শিক্ষকরাও আলোকিত হয়েছেন বলে উপাচার্য মন্তব্য করেন। অপরদিকে অনুষ্ঠানে ডিসিপ্লিনের কৃতি শিক্ষার্থী সুলতানা জাহানকে ডিসিপ্লিনের পক্ষ থেকে ক্রেস্ট, সনদপত্র ও নগদ অর্থ তুলে দেওয়া হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে ডিসিপ্লিনের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দরা এ সময়ে উপস্থিত ছিলেন।