টাঙ্গাইলে ভাড়া বাসা থেকে এক আইনজীবীর সহকারীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ধারণা করা হচ্ছে, ওই নারীকে শ্বাসরোধসহ পায়ের রগ কেটে হত্যা করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের শিকার খাদিজা বেগম জেলার কালিহাতী উপজেলার দূর্গাপুরের নুরুল হকের মেয়ে। রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) রাতে টাঙ্গাইল পৌরসভার আকুরটাকুর পাড়ার বটতলা এলাকার হেলাল মিয়ার ছয়তলা বাসা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ঘটনার পরই তার স্বামী রাশেদুল ইসলাম ও এক রুমমেট পালিয়েছেন। প্রতিবেশী ফ্লাটের বাসিন্দা নার্গিস বেগম বলেন, নিহত খাদিজা বেগম ও তার স্বামী রাশেদুল ইসলাম এখানে ভাড়া থাকতেন। সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার খাদিজার সঙ্গে কথা বলে আমি গ্রামের বাড়ি চলে যাই। বাসার প্রধান ফটক খোলা থাকায় বাসার মালিক আমাকে ফোন করে বিষয়টি জানতে চান। পরে বাসার মালিক হেলাল মিয়াকে খাদিজা ও তার স্বামীসহ আরেক ভাড়াটিয়া নিপার সঙ্গে আমি যোগাযোগ করতে বলি। নিহত খাদিজা বেগমের ভাই ইমাম মিয়া বলেন, প্রায় পাঁচ বছর আগে খাদিজার স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়। তিনি কিছু দিন ধরে টাঙ্গাইল আদালত প্রাঙ্গণে আইনজীবীর সহকারী হিসেবে কাজ করতেন। তবে কোনো ছেলের সঙ্গে তার বিয়ে বা সম্পর্ক হয়েছিল কি না সে বিষয়ে আমার জানা নেই। টাঙ্গাইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু ছালাম মিয়া জানান, খবর পাওয়ার পর খাদিজার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তার পায়ের দুই রগ কাটাসহ মুখে কাপড় পেঁচানো অবস্থায় আমরা তাকে পাই। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।