বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) ২১ জন শ্রবণ প্রতিবন্ধী অস্বচ্ছল রোগীর মাঝে কক্লিয়ার ইমপ্লান্ট এক্সটার্নাল ডিভাইস বিতরণ করা হয়েছে। গত শনিবার বেলা ১১টায় (২ সেপ্টেম্বর ২০২৩) বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ ডা. মিল্টন হলে এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট এক্সটার্নাল ডিভাইস বিতরণ করেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের কক্লিয়ার ইমপ্লান্ট প্রকল্পের কর্মসূচি পরিচালক অধ্যাপক ডা. এ এইচএম জহুরুল ইসলাম সাচ্চু। প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার হলো জনকল্যাণমুখী সরকার। বিশ্ব মানবতার প্রতীক জননেত্রী শেখ হাসিনার আমলে দেশের কোনো মানুষ অবহেলিত থাকবে না। কোনো মানুষ সমাজ ও পরিবারের বোঝা হয়ে থাকবে না। প্রতিবন্ধীদের উন্নয়নে বর্তমান সরকার বহুমুখী কর্মসূচী হাতে নিয়েছে এবং বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। এই সরকারের আমলে অটিস্টিক শিশুদের চিকিৎসাসহ তাদের সার্বিক উন্নয়নে যে কর্মসূচী বাস্তবায়ন হয়েছে তা বিশ্বের জন্য উদাহরণ। একইভাবে শ্রবণ প্রতিবন্ধী বা সম্পূর্ণ বধির শিশুদের জন্য যেভাবে বর্তমান সরকার কাজ করে যাচ্ছে তাও বিশ্বের জন্য একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। আর এর পুরো কৃতিত্ব, অবদান হল মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার অবদানের কারণেই সুস্থ সুন্দর জীবন ফিরে পাচ্ছে প্রতিবন্ধী শিশুরা। কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট ডিভাইস এর মূল্য একটি টয়েটা গাড়ির সমান। যা বর্তমান সরকারের আমলে বিনামূল্যে দেয়া হচ্ছে। কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট ডিভাইসকে সার্জারি মাধ্যমে কর্ণে স্থাপনের জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে একটি সু দক্ষ সার্জারি টিম। তারা সফলভাবে এই মহতী কাজটি সম্পন্ন করে যাচ্ছেন। যে সকল শিশুরা কানে শোনেন না, তারা কথাও বলতে পারেন না। এখানে তাঁদের স্পীচ থেরাপিস্টদের মাধ্যমে কথা শেখানোর ব্যবস্থা রয়েছে। ফলে এ সকল শিশুরা কানে শুনতে পারছে, কথা শিখে কথা বলতে পারছে এবং লেখাপড়া পর্যন্ত শিখছে। ফলে তারা সুস্থ ও সুন্দর জীবনে ফিরতে পারছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে এ পর্যন্ত ৭ শত ৪৫ জন সম্পূর্ণ শ্রবণ প্রতিবন্ধীর কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট করা হয়েছে। যাদের প্রায় সকলেই শিশু।