তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, জনগণ ইতিমধ্যেই বিএনপিকে লাল পতাকা দেখিয়ে দিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘বিএনপি জনগণের জন্য রাজনীতি করে না, করে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের জন্য। ফলে জনগণ বিএনপিকে লাল পতাকা দেখিয়েছে। বর্তমানে দলটির যা অবস্থা, ভবিষ্যতে তাদের হামাগুড়ি কর্মসূচি দিতে হবে।’
গতকাল শুক্রবার বিকেলে রাজশাহীর বাঘা উপজেলার আড়ানী মনমোহিনী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বাঘা উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এ কথা বলেন।
বিএনপি এখন কোমরভাঙা দলে পরিণত হয়েছে উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘মির্জা ফখরুলের মুখে এখন হতাশার সুর, এখন ঘন ঘন বিদেশিদের কাছে যায় না। কারণ, গিয়ে দেখলো কোনো লাভ হয় না। বিদেশিরা তাদের তত্ত্বাবধায়ক সরকার সমর্থন করে নাই। নিরপেক্ষ সরকার সমর্থন করে নাই।’
আওয়ামী লীগের রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের সাংগঠনিক দায়িত্বে নিয়োজিত দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, দেশের উন্নয়ন ফখরুল সাহেবদের চোখে পড়ে না। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশ যখন এগিয়ে যাচ্ছে, বিএনপি তখন বিদেশিদের কাছে ধরনা দিয়েছে। কিন্তু বিদেশিরাও তাদের নালিশে কর্ণপাত করছে না। বিদেশিরা চায় দেশে একটি সুষ্ঠু সুন্দর নির্বাচন হোক। আমরাও দেশের সুষ্ঠু সুন্দর নির্বাচনের গ্যারান্টি দিচ্ছি।
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার প্রধান কুশীলব দুই জনের একজন খন্দকার মোশতাক, অন্যজন জিয়াউর রহমান। হত্যার মাধ্যমেই জিয়া পরিবারের উত্থান। জিয়া ঘটিয়েছিলেন ১৫ আগস্ট, আর তার ছেলে তারেক ঘটিয়েছে ২১ আগস্ট।’
সভায় মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যখন দেশ পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করেন, তখন এক কোটি মানুষ ভারতে শরণার্থী, দেশের মানুষ বাস্তুচ্যুত, ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছিল। বঙ্গবন্ধু বাস্তুচ্যুতদের পুনর্বাসন করেছেন, দেশকে সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন। কিন্তু তাকে নির্মমভাবে সপরিবারে হত্যা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘এই হত্যার ঘটনা ইতিহাসের সবচেয়ে কলঙ্কময় ঘটনা। তবে তার সুযোগ্যকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আবার দেশে এগিয়ে চলেছে। বাংলাদেশ বদলে গেছে। তবে বাংলাদেশের এই বদলে যাওয়া বিএনপি-জামায়াতের পছন্দ না। তারা টেনেহিঁচড়ে আমাদের নামাতে চায়।’
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ও রাজশাহী-৬ আসনের সংসদ সদস্য শাহরিয়ার আলমের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওয়াদুদ দারা, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার, আয়েন উদ্দিন এমপি, আদিবা আনজুম মিতা এমপি ও রাজশাহী বরেন্দ্র উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান আখতার জাহান।