হোম অব ক্রিকেট মিরপুরে আজ রবিবার (১৬ জুলাই) তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে ভারতের মেয়েদের ৪০ রানে হারিয়েছে টাইগ্রেসরা। ওয়ানডেতে প্রথমবারের মত ভারতকে হারিয়ে ইতিহাস গড়েছে নিগার সুলতানা জ্যোতি বাহিনী।
বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে টসে হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে বড় সংগ্রহ দাঁড় করাতে পারেনি বাংলাদেশ। ভারতীয় বোলারদের চাপে মাত্র ৪৩ ওভারে ১৫২ রান তুলে সবকটি উইকেট হারিয়ে ফেলে লাল সবুজের প্রতিনিধিরা। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩৯ রান করেন টাইগ্রেস অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৭ রান আসে ফারজানা হকের ব্যাট থেকে। ভারতের হয়ে সর্বোচ্চ ৪টি উইকেট নেন আমানজত কৌর। ছোট লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই ভারতীয় ব্যাটরাদের সুবিধা করতে দেয়নি টাইগ্রেস বোলাররা। ৩৫.৫ ওভারে মাত্র ১১৩ রানেই ভারতকে অলআউট করে তারা। সফরকারীদের ৪০ রানে হারিয়ে প্রথমবারের মতো ওয়ানডে ম্যাচ জিতে নেয় লাল সবুজের প্রতিনিধিরা।
ছোট কিছু ভুলের কারণে ভারত নারী দলের বিপক্ষে ২-১ ব্যবধানে টি-টোয়েন্টি সিরিজ হাতছাড়া করেছে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল।
হোম অব ক্রিকেট মিরপুরে রবিবার ভারতের অধিনায়ক হারমানপ্রীত কৌর ব্যাটহাতে সফল না হলেও বাংলাদেশের নিগার সুলতানা জ্যোতি ৬৪ বলে ৩৯ রান করে দলের জয়ে অগ্রণী ভূমিকা রাখেন
ভারত দলের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে জয়ের কোনো সুযোগই তৈরি করতে পারেনি জ্যোতির সতীর্থরা। তিনিও নন-স্ট্রাইকে থাকা ব্যাটারের ডাকে সারা দিয়ে মাত্র ২ রানের ইনিংস খেলে রানআউটের শিকার হন। প্রথম ম্যাচের ব্যর্থতা কাটিয়ে দ্বিতীয় ম্যাচে মাত্র ৯৫ রানে হারমানপ্রীতের দলকে আটকে দেয় টাইগ্রেসরা। জয়ের সুযোগ থাকলেও ছোট কিছু ভুলের কারণে সেই ম্যাচে হেরে যায় লাল সবুজের জার্সিধারী নারী ক্রিকেটাররা। তৃতীয় ম্যাচে অবশ্য সেই ভুল করেননি তারা। ১০২ রানে ভারতীয় নারীদের আটকে দিয়ে তারা জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে। সেই জয় এখনো রঙ ছড়াচ্ছে টাইগ্রেস শিবিরে। তাই শক্তিশালী ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডেতে নিজেদেরকে ফেভারিট মনে করছেন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যাতি। তিনি বিশ^াস করেন, নিজেদের মাটিতে শক্তিশালী ভারতকে হারানো সম্ভব ভালো ক্রিকেট খেলেই। নিজেদের বোলিং ইউনিট নিয়ে তিনি শতভাগ বিশ^াসী। লম্বা ব্যাটিং লাইনআপ নিয়েও তিনি আত্মবিশ^াস প্রকাশ করেছেন শনিবার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে। ওয়ানডে সিরিজের ফেভারিট দল কে জানতে চাইলে জ্যোতি বলেন, ‘অবশ্যই আমাদেরকে ফেভারিট মনে করি। কারণ, টি-টোয়েন্টির শেষ ম্যাচটায় আমাদের জয় আছে। এবার সংস্করণ বদল হলেও আমি নিজেদেরই এগিয়ে রাখব।’ নিজেদের এগিয়ে রাখার কারণ ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, ‘প্রথমত খেলা হবে ঘরের মাঠে। আর শেষ ম্যাচটায় জেতায় পুরো দলই এখন ইতিবাচক হয়ে আছে। এই মুহুর্তে সবাই অনেক উজ্জীবিত। আমরা যদি ভুল কম করি, পরিকল্পনা অনুযায়ী খেলতে পারি তাহলে ভালো কিছুই হবে। যে ছোট ছোট ভুলগুলো আমরা করেছি সবসময় সেগুলো নিয়ে কোচিং স্টাফরা আমাদের সঙ্গে কথা বলেছেন। অনুশীলনেও এসব নিয়ে আলোচনা হয়েছে। দেখা যায়, জুটি গড়ার ক্ষেত্রে আমাদের মধ্যে একটা ঘাটতি থাকে। সেটা নিয়ে কথা বলেছি আমরা। এসব ক্ষেতেও আমরা যদি ১০ থেকে ১৫ ভাগ উন্নতি করতে পারি, আমার মনে হয় ভালো ক্রিকেটটাই আমরা খেলতে পারব।’ জ্যোতি আরো যোগ করেন, ‘আমরা জিততে জিততে হারা এবং আরো একটি ম্যাচ জিতার ধাপটা পার করে চলে এসেছি। এখন পর্যন্ত মনে হয়, দলটা ভালো একটা ছন্দ পেয়েছে। সবার তো ইচ্ছা থাকবে, সবারই প্রত্যাশা যে, প্রথম থেকেই যেন আমরা কোনো ভুল না করি। এই সিরিজটা যেন আমরা খুব ভালোভাবেই শুরু করতে পারি।’
ভারতের চেয়ে নিজেদের ব্যাটিং ইউনিটকে শক্তিশালী মনে করেন জ্যোতি। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয়, এখন পর্যন্ত ভারত যেভাবে ব্যাটিং করেছে, আমরা তার চেয়ে ভালো ব্যাটিং করেছি। দ্বিতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে যদি দেখেন, আমাদের ব্যাটাররা এই উইকেটকে ভালো বুঝতে পেরেছে এবং সেই অনুযায়ী শটস খেলেছে। এসব উইকেটে আপনাকে অবশ্যই সময় নিয়ে ক্রিকেট খেলতে হবে। টি-টোয়েন্টিতে ওইভাবে আমরা সময় পাই নাা। তবে ওয়ানডেতে সময়-সুযোগ থাকবে।’