কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার কামাল্লা ইউনিয়ন এখন এক ভোগান্তির জনপদ। আপনি যে পথেই এখানে আসতে চান না কেন দুর্ভোগের সীমা নেই। পাঁচ মিনিটের পথ ঘণ্টায়ও শেষ হয় না। এ ইউনিয়নের সাথে সংযোগকারী চার পাশের রাস্তাগুলো খানাখন্দে ভরা। বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে অনেক সড়কে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। তাই ঈদে দূর-দূরান্ত থেকে নাড়ির টানে বাড়ি ফেরা মানুষের এখন ভোগান্তির শেষ নেই। কয়েকজন অটো ও সিএনজি চালক জানান, নোয়াগাও থেকে কামাল্লা বাজারের দূরত্ব ২.৫ কিলোমিটার। মুরাদনগর-রামচন্দ্রপুর সড়কের কামাল্লা মাদ্রাসা থেকে কামাল্লা বাজারের দূরত্ব ২ কিলোমিটার ও মির্জাপুর-রাজনগর সড়কের কামাল্লা বাজার থেকে রাজনগরের ৩ কিলোমিটার দূরত্বের পথ। এ সকল রাস্তা প্রায় ২০ বছর ধরে সংস্কার না হওয়ার কারণে বড় বড় খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে সড়ক এখন চলাচলের উপোযোগী নয়। কেউ কেউ এসব রাস্তা দিয়ে অধিক ঝুকি নিয়ে চলাচল করতে গিয়ে বহুবার দুর্ঘটনার স্বীকার হয়েছে। তাই কামাল্লা ইউনিয়ন বর্তমানে যোগাযোগের দিক থেকে এক ভোগান্তির জনপদে পরিণত হয়েছে। কামাল্লা গ্রামের সুরুজ মিয়া জানান, শুধু মাত্র মির্জাপুর-রাজনগর সড়কের খাঁন বাড়ীর সামনে অটো ও সিএনজি রাস্তার গর্তে পরে এখন পর্যন্ত পা ভেঙ্গেছে ৫ জন যাত্রীর। যাদের মধ্যে কামাল্লা উত্তর পাড়া গ্রামের মিজান মিয়ার ছেলে জাহাঙ্গীর(৪২) একই গ্রামের মামুন চৌধুরীর ছেলে ইয়াসিন (২২), রব মিয়ার ছেলে আবুল কালাম (২৪), আলী হোসেনের ছেলে বিল্লাল হোসেন (২৫) ও সবুজ মিয়ার ছেলে সৌরভ (১৪)। এছাড়াও প্রতিদিনই এ সড়ক দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে দুর্ঘটনার স্বীকার হতে হচ্ছে পথচারীদের। ব্যবসায়ী রামায়ন পাল জানান, আমাদের উপজেলার একটি বড় বাজার হচ্ছে রামচন্দ্রপুর। তাই আমরা সারা বছর মাটির তৈরি জিনিসপত্র নিয়ে ওই বাজারে যেতে হয়। দীর্ঘদিন রাস্তার সংস্কার না হওয়ায় দ্বীগুন ভাড়া গুনতে হয় আমাদের। বাজারে যেতে গিয়ে গাড়ির ঝাকুনিতে অনেক সময় মাটির তৈরি মালামাল নষ্ট হয়ে য়ায়। যার ফলে এখন ব্যবসা টিকিয়ে রাখা দায় হয়ে উঠেছে। এ ব্যাপারে মুরাদনগর উপজেলা প্রকৌশলী রায়হানুল আলম চৌধুরী জানান, আসলে বিভিন্ন সমস্যার কারণে রাস্তা সংস্কারের কাজ গুলো আটকে আছে। খুব দ্রুত নোয়াগাও বাজার থেকে কামাল্লা বাজার ও মুরাদনগর-রামচন্দ্রপুর সড়কের কামাল্লা মাদ্রাসা থেকে কামাল্লা বাজার পর্যন্ত রাস্তা সংস্কারের কাজ শুরু হবে। তবে কামাল্লা বাজার থেকে রাজনগরের রাস্তা সংস্কারের বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোন তথ্য হাতে আসেনি।