বাংলাদেশে কৃষি যন্ত্রপাতি তৈরির কারখানা, কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণের জন্য এগ্রো-ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক, বিজ্ঞানীদের প্রশিক্ষণ ও যৌথ গবেষণার জন্য এগ্রিকালচারাল টেকনোলজি কোঅপারেশন সেন্টার স্থাপনের জন্য গভীর আগ্রহ প্রকাশ করেছে চীন। বৃহস্পতিবার সকালে সচিবালয়ে কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক এর সাথে বৈঠকে চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন এসব প্রস্তাব দেন। কৃষিমন্ত্রী চীনের প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, বাংলাদেশ সরকার সব ধরনের সহযোগিতা প্রদান করবে। বাংলাদেশের বিজ্ঞানীদের জন্য উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে আরো বেশি স্কলারশিপ প্রদানের জন্য মন্ত্রী অনুরোধ করেন। তিনি বলেন, জাতীয় স্বার্থকে সবার আগে বিবেচনায় নিয়ে বাংলাদেশ সব দেশের সাথে সুসম্পর্ক রাখতে চায়। অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও এ অঞ্চলের শান্তি-স্থিতিশীলতার জন্য বাংলাদেশ-চীনের সুসম্পর্ক খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে কৃষিখাতে সহযোগিতা বৃদ্ধির অনেক সুযোগ রয়েছে। এসব সহযোগিতার মাধ্যমে কৃষিখাতে বাংলাদেশ ও চীনের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় উন্নীত হবে। মন্ত্রী রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশের জন্য বার্ডেন উল্লেখ করে রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তনে চীনের সহযোগিতা কামনা করেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ ছোট্ট দেশ, ১৭ কোটি জনসংখ্যা। এ অবস্থায়, ১০ লাখ রোহিঙ্গার খাদ্য, বাসস্থান, চিকিৎসা, নিরাপত্তা নিশ্চিত করা খুবই কঠিন। তাছাড়া, দেশের নিরাপত্তার জন্যও রোহিঙ্গারা হুমকিস্বরূপ। চীনা রাষ্ট্রদূত জানান, চীন রোহিঙ্গা সমস্যার স্থায়ী সমাধানে আন্তরিকভাবে কাজ করছে। এসময় কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব রুহুল আমিন তালুকদার, উপসচিব ইশরাত রেজা, চীনা দূতাবাসের কমার্শিয়াল কাউন্সেলর সঙ ইয়ান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।