চট্টগ্রামের পূর্ব ষোলশহর ও পশ্চিম বাকলিয়া ওয়ার্ডে প্রায় ১২ কোটি টাকার উন্নয়ন কাজের উদ্বোধন করেছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো রেজাউল করিম চৌধুরী। গত মঙ্গলবার সকালে নগরীর ৬নং পূর্ব ষোলশহর ওয়ার্ডের শাহ আমানত সেতু সংযোগ সড়ক সংলগ্ন ইয়াছিন হাজী বাড়ী, এক কিলোমিটার মীর বাড়ির রাস্তাসহ লেইন ও বাইলেইনের উন্নয়ন, হাঁচি শাহ সড়ক আবাসিক এলাকার রাস্তাসহ লেইন ও বাইলেইনের উন্নয়ন এবং পশ্চিম বাকলিয়া ওয়ার্ডস্থ বাকলিয়া সরকারি উ”চ বিদ্যালয় সড়ক,শালবন আবাসিক এলাকা সড়ক, মোস্তফা বাগ আবাসিক এলাকা সড়ক এবং চান্দ মিয়া মুন্সি সড়ক ও আর সি সি ড্রেনেজের উন্নয়ন কাজের উদ্বোধন করেন মেয়র। উদ্বোধনকালে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র বলেন, প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা প্রদত্ত আড়াই হাজার কোটি টাকার প্রকল্পের অংশ হিসেবে এ সমস্ত উন্নয়ন কাজ করা হচ্ছে। গত ১৪ বছরে ঢাকা, রাজশাহীসহ সমগ্র উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গের চেহারাই পাল্টে গেছে। পাঁচ বছর পর চট্টগ্রামের চেহারাও পাল্টে যাবে। চট্টগ্রামের মিরসরাই এলাকায় যে বঙ্গবন্ধু শিল্প পার্ক করা হচ্ছে তা বাস্তবায়িত হলে ১৫ লক্ষ মানুষের কর্মসংস্থান হবে । এছাড়াও কর্ণফুলীর তলদেশে টানেল নির্মাণ, কক্সবাজার পর্যন্ত রেললাইন স্থাপনের কাজও শেষ পর্যায়ে চলে এসেছে। উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থার কারণে চট্টগ্রাম হবে বিশ্ববাণিজ্যের হাব। “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বের কারণে বাংলাদেশ আজ সারা বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল। করোনা মহামারীতে যখন সারা বিশ্বে উন্নত দেশগুলো হিমশিম খাচ্ছিলো এবং করোনা টিকা মারতে পারেনি তখন বঙ্গবন্ধু কন্যা মানবতার নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের মানুষকে বিনামূল্যে টিকা প্রদান ও খাদ্য সহায়তা দিয়েছেন। রাশিয়া – ইউক্রেন যুদ্ধে যখন সারা বিশ্বে দ্রব্য মূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে অর্থনৈতিক অবস্থা টালমাটাল তখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা এখনো ভাল আছি।” প্রসঙ্গক্রমে তিনি বলেন, সারা বিশ্বে দুইজন নেতা বিশ্ব ব্যাংকের মত মহাজনি সংস্থাকে আঙুল তুলে কথা বলেছেন। এর মধ্যে একজন মিশরের রাষ্ট্রপতি জামাল আবদুল নাছের অন্যজন আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বিশ্ব ব্যাংককে বলেছেন, তোমাদের টাকা লাগবেনা আমার ষোল কোটি জনগণ আছে। তাদের টাকা দিয়ে পদ্মা সেতু করবো। পদ্মাসেতু আজ বাস্তবে রূপ ধারণ করেছে। এসময় তিনি নগরবাসীকে গৃহকর নিয়ে আতংকিত না হয়ে আপিল করলে গৃহকর সহনীয় পর্যায়ে নির্ধারণ করে দিবেন বলে ঘোষণা দেন। এছাড়া জলাবদ্ধতা নিরসণে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) প্রকল্পের খাল খনন ও বড় নর্দমা নির্মাণের জন্য যে বাঁধ দেয়া হয়েছে তা দ্রুত সরানোর জন্য সিডিএ’র প্রতি আহ্বান জানান। কাউন্সিলের শহীদুল আলমের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন কাউন্সিলর নূর মোস্তফা টিনু, সংরক্ষিত কাউন্সিলর শাহীন আক্তার রোজী ও চসিক প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম। এসময় উপস্থিত ছিলেন কাউন্সিলর এম আশরাফুল আলম, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মুনিরুল হুদা, নির্বাহী প্রকৌশলী আবু ছিদ্দিক, ফরহাদুল আলম, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি শামসুল আলম, মুক্তিযোদ্ধা মো মুছা, মো.মহসিন, আবদুল হাকিম, সিরাজুল ইসলাম, সরোয়ার আলম ভূইয়া,এম এ হান্নান, আকবর আলী আকাশ,মো.আনোয়ার হোসেন, এম ইলিয়াস, হুমায়ুন কবির, আমীর উদ্দিন, মো.ইদ্রিস, মো.আলমগীর, মো.ইছমাইল, মিনহাজুল আবেদীন সায়েম, ইঞ্জিনিয়ার মফিজুর রহমান, ইয়াছিন টিপু, মুজিবুর রহমান, সমর দাশ প্রমুখ।