খুলনার দাকোপ থানার ৭ বছরের এক নাবালিকা শিশুকে ধর্ষণ করার দায়ে গতকাল তাকে গ্রেফতার করে র্যাব -৬ এর একটি আভিযানিক দল। ভিকটিম সে স্থানীয় একটি মাদ্রাসার ২য় শ্রেনীর ছাত্রী। ঘটনার দিন ভিকটিম তার নিজ বাড়ির উঠানে খেলা করছিলো এমতাবস্থায় ধর্ষণকারী আসামী মোঃ আসাদ(২২) সেখানে এসে ভিকটিমকে খাবারের প্রলোভন দেখিয়ে তার নিজ বসত ঘরের মধ্যে নিয়ে পাশবিক নির্যাতন চালায়। এ সময়ে ভিকটিম চিৎকার করলে আসামী তার মুখ গামছা দিয়ে চেপে ধরে জোড়পূর্বক ধর্ষণ করে। পরবর্তীতে ভিকটিম বাড়িতে এসে তার মায়ের নিকট বিস্তারিত ঘটনা প্রকাশ করে। পরবর্তীতে নাবালিকা ভিকটিম অসুস্থ হয়ে পড়লে তার বাবা চিকিৎসার জন্য দাকোপ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ভিকটিমকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জরুরী ভিত্তিতে প্রেরণ করেন। উক্ত ধর্ষণের ঘটনা সংক্রান্তে ভিকটিমের পিতা বাদী হয়ে খুলনা জেলার দাকোপ থানায় আসামীর বিরুদ্ধে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন৷ ঘটনাটি জানতে পেরে র্যাব-৬ (সদর কোম্পানি) এর একটি আভিযানিক দল ছায়া তদন্ত শুরু করে এবং ধর্ষককারীকে গ্রেফতারের লক্ষ্যে অভিযান অব্যাহত রাখে। ঘটনার পর থেকে আসামী আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পালিয়ে বেড়ায়। পরবর্তীতে র্যাব তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে আসামীর অবস্থান নিশ্চিত করে। এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব-৬ (সদর কোম্পানি) এর একটি আভিযানিক দল ১৫ ফেব্রুয়ারি গভীর রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বাগেরহাট জেলার ফকিরহাট থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে শিশু ধর্ষণকারী মোঃ আসাদ(২২), থানা-দাকোপ, জেলা-খুলনাকে গ্রেফতার করে। আসামীকে গ্রেফতারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামী ধর্ষণের কথা স্বীকার করে। গতকাল সকালে গ্রেফতারকৃত আসামীকে র্যাব – ৬ কার্যালয়ে উপস্থিত করে এক সাংবাদিক সম্মেলনে উক্ত ধর্ষণের বিবরণ দেন র্যাব – ৬ এর অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল মুহাম্মদ মোসতাক আহমদ। নাবালিকা শিশুকে ধর্ষণের দায়ে আসামীকে দাকোপ থানায় হস্তান্তর করার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে উক্ত সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।