ফরিদপুরের ভাঙ্গা থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) সজল মাহমুদের (৪০) বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেছেন অন্তঃসত্ত্বা এক নারী। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ আদালতে এ অভিযোগ করেন ওই নারী। সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ফরিদপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ আদালতের বিচারক হাফিজুর রহমান অভিযোগটি আমলে নেন। পরে এটি মামলা হিসেবে নিতে ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নির্দেশ দেন। লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ওই নারীর বাবা-মা মারা গেছেন। তিনি অবিবাহিত। তারা দুই বোন ও এক ভাই। ২০০৬ সালে তারা দুই বোন জীবিকার তাগিদে সৌদি আরব যান। ওই সময় তার ছোট ভাই কিডনি রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। পরে তিনি দেশে এসে স্থায়ীভাবে বাড়িতে বসবাস করে আসছেন। গত বছরের ২০ অক্টোবর বাড়িতে চুরি হলে পুলিশকে জানান ওই নারী। পরে ২৪ অক্টোবর রাতে ভাঙ্গা থানার এএসআই সজল মাহমুদ তার বাড়িতে যান। কথাবার্তার একপর্যায়ে তার সঙ্গে জোর করে শারীরিক সম্পর্ক করেন। পরবর্তী সময়ে বিয়ের প্রলোভনে আরও বেশ কয়েকবার শারীরিক সম্পর্ক করেন। অভিযোগে আরও বলা হয়, গত ৩০ জানুয়ারি ওই নারীকে বিয়ের প্রলোভনে ভাঙ্গা বাজারে নিয়ে একটি মেডিকেল সেন্টারে রেখে পালিয়ে যান এএসআই সজল মাহমুদ। গত ১২ ফেব্রুয়ারি ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালে আলট্রাসনোগ্রাম করে জানতে পারেন তিনি তিনমাসের অন্তঃসত্ত্বা। পরে তিনি থানায় গিয়ে মামলা করতে গেলেও মামলা নেয়নি বলে অভিযোগ। অভিযোগ প্রসঙ্গে এএসআই সজল মাহমুদ বলেন, ওই নারীর সঙ্গে তার বিয়ে হয়েছে, তার কাছে কাবিননামাও আছে। বড় স্ত্রীর সম্মতিতে তিনি দ্বিতীয় বিয়ে করেছেন। তাকে আমি তালাক দেইনি। এদিকে মামলার বিষয়ে বিস্ময় প্রকাশ করে সজল মাহমুদ বলেন, নারী আদালতে ধর্ষণের অভিযোগে কেন মামলা দিলেন, তা তিনি ঠিক বুঝে উঠতে পারছেন না। ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ভাঙ্গা সার্কেল) মো. হেলালউদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, প্রশাসনিক কারণে এএসআই সজলকে গত ১০ দিন আগে ফরিদপুর পুলিশ লাইন্সে বদলি করা হয়েছে। আদালতের নির্দেশনা এখনও পায়নি। তবে শুনেছি, এ জাতীয় একটি মামলা হয়েছে।