বাগেরহাটের ঐতিহাসিক ষাটগম্বুজ মসজিদ, জাদুঘর ও খানজাহান আলীর মাজার ঘুরে দেখলেন বিদেশি পর্যটকরা। শনিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) ২৭ জন সুইচ ও একজন জার্মান পর্যটক নিয়ে মোংলা থেকে বিকেল ৪টার দিকে ষাটগম্বুজ মসজিদে এসে পৌঁছায়। এ সময় বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুর রহমানসহ প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে দুপুরে বিদেশি পর্যটক নিয়ে ভারতের বেনারাস থেকে ছেড়ে আসা বিলাসবহুল প্রমোদতরী এমভি গঙ্গা বিলাস মোংলা বন্দরের ৭ নম্বর জেটিতে নোঙ্গর করে। সেখানে মোংলা বন্দরের পক্ষ থেকে অতিথিদের অভ্যর্থনা জানানো হয়। মোংলা বন্দরের আথিয়েতা, আনুষ্ঠানিকতা ও দুপুরের খাবার শেষে সড়ক পথে ষাটগম্বুজ মসজিদের উদ্দেশ্যে রওনা করেন।
বিকেলে ষাটগম্বুজ পৌঁছানোর পরে ষাটগম্বুজ মসজিদের ইমাম ও খতিব মাওলানা হেলাল উদ্দিন অতিথিদের বাগেরহাট যাদুঘর ও ষাটগমুব্জ মসজিদ ঘুরিয়ে দেখান। অতিথিদের কাছে ইংরেজি ভাষায় ষাটগম্বুজের ইতিহাস ও বাগেরহাট সম্পর্কে বর্ণনা করেন। অতিথিরাও মুসলিম স্থাপত্যের এই প্রাচীন নিদর্শন সম্পর্কে খোঁজ খবর নেন। মসজিদের স্বতন্ত্র স্থাপত্যশৈলী এবং ঐতিহাসিক গুরুত্ব জেনে বিষ্ময় প্রকাশ করেন পর্যটকরা। এছাড়া পর্যটকরা খানজাহান আলীর মাজার ঘুরে দেখেন।
ষাটগম্বুজ মসজিদ ও যাদুঘর ঘুরে দেখে মুগ্ধ পর্যটকরা। তারা বলেন, এটির স্থাপত্যশৈলী সত্যিই অসাধারণ। আমরা বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ভ্রমণ করে থাকি। তবে এই মসজিদের স্থাপত্যশৈলী এবং ঐতিহাসিক গুরুত্ব বিবেচনায় এটি সবচেয়ে সুন্দর ও গুরুত্বপূর্ণ ভ্রমণ। সারা বিশ্বের পর্যটকদের অনুরোধ করব, এই স্থাপত্যশৈলীগুলো ঘুরে দেখার জন্য।
এমভি গঙ্গা বিলাসের অপারেটর জার্নি প্লাসের প্রধান নির্বাহী তৌফিক রহমান বলেন, গত ১৩ জানুয়ারি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বানারাসে এর উদ্বোধন করেন। এটি পৃথিবীর সবচেয়ে লং ট্যুর রিভার ক্রুজ। এটি ৩২০০ কিলোমিটার নদীপথ পাড়ি দেবে। বাংলাদেশ-ভারতের ২৭টি নদী ও ৫০টি পর্যটন কেন্দ্রে যাবে। শনিবার দুপুরে মোংলা বন্দরে এসে পৌছায়। মোংলা বন্দরের ৭ নম্বর জেটিতে নোঙ্গর করি। পর্যায়ক্রমে দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থান ভ্রমণ শেষে ১৭ ফেব্রুয়ারি কুড়িগ্রামের চিলমারী হয়ে ভারতের আসামে ঢুকবে।
প্রমোদতরীটি ১৩ জানুয়ারি ভারতের বেনারস রাজ্য থেকে ছেড়ে আসে। এই প্রমোদতরীতে সুইডেনের ২৮, জার্মানের ১ এবং ইন্ডিয়ার একজন পর্যটক রয়েছেন। আগামী ১ মার্চ আসামের ধুপড়ি হয়ে আসামের শেষ সীমান্তের দিপুড়গড়ে গিয়ে ৫১ দিনের ভ্রমণ শেষ হবে পর্যটকদের।