ঘরের মাঠে তারকাখচিত টিম ইন্ডিয়া অপ্রতিরোধ্য। সেটা ফের একবার বোঝা গেল। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জেতার পর থেকে ভারতের আত্মবিশ্বাস অনেকটাই বেড়ে গিয়েছিল। মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) বার্সাপাড়া স্টেডিয়ামে ব্যাটিং-বোলিং সব বিভাগে উপচে পড়ল সেই আত্মবিশ্বাস। ভারতের ৬৭ রানের জয়ে ম্লান হয়ে গেল দাসুন শনাকার লড়াকু শতরান। এই জয়ের সুবাদে সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল টিম ইন্ডিয়া।
প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে ৭ উইকেটে ৩৭৩ রান করে ভারত। উদ্বোধনী জুটিতেই আসে ১৪৩ রান। শানাকার বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ৭০ রান করে ফেরেন গিল। রোহিতেরও শতরান হয়নি। ৮৩ রান করে সাজঘরে ফেরেন তিনি। এরপর কেবলই কোহলি শো। বাংলাদেশের বিপক্ষে গত ডিসেম্বরেই সবশেষ ম্যাচে সেঞ্চুরি করেছিলেন তিনি। সেই ফর্ম টেনে আনলেন নতুন বছরেও। দুইবার জীবন পেয়ে ওয়ানডে ক্যারিয়ারে ৪৫ তম সেঞ্চুরিটা তুলে নেন এই ডানহাতি। ঘরের মাঠে এটি তার ২০তম। যা ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ। তালিকার চূড়ায় অবশ্য শচীন টেন্ডুলকারেরও নাম আছে। তবে শচীনের চেয়ে কম সময়ে ঘরের মাঠে নিজের ২০ তম সেঞ্চুরি করেছেন এই ডানহাতি। কোহলি যেখানে খরচ করেছেন ৯৯ ইনিংসে, সেখানে শচীনের লেগেছিল ১৬০ ইনিংস।
জবাব দিতে নেমে শুরুতেই বিপর্যয়ে পড়ে শ্রীলঙ্কা। ওপেনার আভিষ্কা ফার্নান্দো আউট হন ৫ রান করে। কুশল মেন্ডিস আউট হন কোনো রান না করেই। তবে অপর ওপেনার পাথুম নিশাঙ্কা করেন ৭২ রান। চারিথ আশালঙ্কা করেন ২৩ রান। ধনঞ্জয়া ডি সিলভা ৪৭ রান করে বিদায় নেন। দাসুন শানাকা ৮৮ বলে ১০৮ রানে অপরাজিত থাকেন। ১২টি বাউন্ডারির সঙ্গে ৩টি ছক্কার মার মারেন তিনি। শেষের দিকের ব্যাটাররা ভালো স্কোর করতে পারেননি। ১৬ রান করেন ওয়ানিদু হাসারাঙ্গা এবং ১৪ রান করেন চামিকা করুনারত্নে। ভারতীয় বোলারদের মধ্যে ৩ উইকেট নেন উমরান মালিক। ২ উইকেট নেন মোহাম্মদ সিরাজ এবং ১টি করে উইকেট নেন মোহাম্মদ শামি, হার্দিক পান্ডিয়া এবং যুজবেন্দ্র চাহাল।
###