বিএনপির ময়মনসিংহ ও খুলনার বিভাগীয় সমাবেশের সময় গণপরিবহন বন্ধ করে দিয়েছিল পরিবহন মালিক-শ্রমিকরা। তাদের হাঠৎ ডাকা ধর্মঘটে সমাবেশে যোগ দিতে যাওয়া বিএনপি নেতা-কর্মীরা অনেকটাই বেকায়দায় পড়ে। তারপরও সমাবেশের আগের রাতেই হাজার হাজার নেতা-কর্মী সমাবেশস্থলে জড়ো হন। একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটল রংপুরেও। রাত পোহালেই রংপুরে বিএনপির চতুর্থ বিভাগীয় গণসমাবেশ। আগামী দুপুর থেকে শুরু হবে সমাবেশের মূল কার্যক্রম। তবে তার আগে রাতেই দলে দলে সমাবেশে হাজির হয়েছেন নেতা-কর্মীরা।
এরই মধ্যে প্রস্তুত হয়েছে মাঠে মঞ্চের কাজ। নানা ধরনের বাধা উপেক্ষা করে যেসব নেতাকর্মীরা যাচ্ছেন তারা অবস্থান নিচ্ছেন সমাবেশস্থলের মাঠেই। সন্ধ্যার আগে থেকেই মাঠে বিভিন্ন জেলা থেকে আসা নেতাকর্মীরা অবস্থান নিতে শুরু করেন।
রাত ১০টায় দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সমাবেশস্থল পরিদর্শনে যান। সে সময় তিনি মঞ্চ থেকে হাত নেড়ে নেতাকর্মীদের শুভেচ্ছা জানান। মাঠে তার আগমনে যেন প্রাণ ফিরে পান নেতাকর্মীরা।
সমাবেশকে ঘিরে আইনশৃঙ্খলা নিয়ে কঠোর অবস্থানের কথা জানিয়েছে নগর পুলিশ। বাড়ানো হয়েছে গোয়েন্দা তৎপরতা। যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় তারা সর্বোচ্চ সতর্ক রয়েছে বলে জানান।
সরেজমিনে দেখা গেছে, যত রাত বাড়ছে, নেতা-কর্মীর ভিড় তত বাড়ছে। মাঠে নেতাকর্মীদের ‘অ্যাকশন অ্যাকশন, ডাইরেক্ট অ্যাকশন’, ‘খালেদা জিয়ার মুক্তি চাই’, ‘ভয় করি না বুলেট-বোমা, আমরা সবাই জিয়ার সেনা’ এমন নানা ধরনের স্লোগান দিচ্ছেন। পুরো সমাবেশস্থল ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে বিএনপি নেতা-কর্মীরা স্লোগান দিয়ে মাতিয়ে রাখছেন। রাতের বেলায় রংপুরের পাশের জেলা-উপজেলা থেকে মোটরসাইকেলে বিচ্ছিন্নভাবে আসছেন কর্মীরা। এসব মোটরসাইকেল সমাবেশস্থলের অদূরে রেখে ছোটে ছোট মিছিল নিয়ে মাঠে প্রবেশ করছেন তারা। অনেকে আবার নিজ নেতাকে জানান দিতে নেতার নাম জানিয়ে স্লোগানও দিচ্ছেন।
রাত সাড়ে ৯টার দিকেই কালেক্টরেট মাঠের একাংশ ভরে গেছে। রাত যত গভীর হচ্ছে, তত উপস্থিতি বাড়ছে। মাঠের এক পাশে দেখা যায়, সমাবেশে যাওয়া কিছু নেতাকর্মী মাঠে তাবু তৈরি করে শুয়ে পড়েছেন।
আজ বিকেলে সমাবেশস্থলে সংবাদ সম্মেলন করে অবশ্য বিএনপি নেতাকর্মীদের সমাবেশে যোগ দিতে যেতে বাধা দেয়ার অভিযোগ করেন দলটির নেতারা। জানান, আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা বিএনপির নেতা-কর্মীদের পদে পদে বাধা দিচ্ছেন, হুমকি-ধামকি দিচ্ছেন যেন সমাবেশে যোগ দিতে না পারে সে জন্য।
রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার মো. আবু মারুফ হোসেন জানান, সমাবেশ হবে। যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় তারা প্রস্তুত আছে।