বিএনপির মুখ দিয়ে বিদ্যুৎ নিয়ে কথা বলা মানায় না বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন তিনি।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি বিদ্যুৎ নিয়ে নানা কথা বলছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আজ বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা ২৪ হাজার মেগাওয়াটে পৌঁছেছে। দেশের শতভাগ মানুষ বিদ্যুতের আওতায় এসেছে। এখন গ্রামের মানুষও এসি ব্যবহার করছে। যারা বিদ্যুৎ দেয়ার কথা বলে শুধু খাম্বা বসিয়েছে, তাদের মুখে বিদ্যুৎ নিয়ে কথা বলা মানায় না।
হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপির উচিত বিদ্যুৎ নিয়ে কথা না বলে আয়নায় নিজের মুখ দেখা।
বিএনপির সমাবেশ নিয়ে মন্ত্রী বলেন, সরকার কখনো বিএনপির সমাবেশে বাধা দেয়নি। আমরা চাই, বিএনপি নিয়ন্ত্রিত উপায়ে সমাবেশ করুক।
এসময় সমাবেশকে কেন্দ্র করে পরিবহন ধর্মঘটের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, যেহেতু অতীতে বিএনপি আন্দোলনের নামে বাস পুড়িয়েছে, লঞ্চ পুড়িয়েছে; সে কারণেই বরিশাল ও খুলনায় শ্রমিক মালিকরা বিএনপির সমাবেশের সময় তাদের যানবাহন রক্ষায় ধর্মঘট করেছে।
তিনি বলেন, রংপুরের কথা আমি জানি না। সেখানেও যদি সেরকম হয় সেটি বাস শ্রমিক-মালিকদের, তারাতো ইন্ডিপেন্ডেন্ট (স্বাধীন) বডি, পেশাজীবীদের সংগঠন বা মালিকদের সংগঠন। সেই সংগঠনে আওয়ামী লীগ-বিএনপির সবাই আছে।
মন্ত্রী বলেন, বাস-শ্রমিকদের যে সংগঠন সেখানে বিএনপি নেতারা আছেন, মালিকদের যে সংগঠন, সেখানেও বিএনপি-জাতীয় পার্টির সবাই আছেন। বিএনপি নেতারাসহ সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে ধর্মঘট করার। কারণ তাদের বাস যদি আবার পোড়ানো হয়, মানুষকে যদি আবার পুড়িয়ে দেয়। সেখানে (ধর্মঘট) আমাদের করার কী আছে?
জামায়াতে ইসলামীর ভিন্ন নামে নিবন্ধন চাওয়ার বিষয়েও কথা বলেন তথ্যমন্ত্রী। বলেন, যেকোনো রাজনৈতিক দল নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধনের জন্য আবেদন করতে পারে। নিবন্ধন দেয়া না দেয়ার বিষয় কমিশনের। জামায়াতে ইসলামী যদি আবেদন দেয়, নিশ্চয়ই সেটি নজরে আসবে কমিশনের।
নবচেতনা /আতিক