কিশোরগঞ্জ যুব উন্নয়ন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র হতে ট্রেডে প্রশিক্ষণ নিয়ে আত্নকর্মসংস্থানের দিকে উদ্বুদ্ধ হন যুব সংগঠক আমিনুল হক সাদী। প্রশিক্ষণলব্দ জ্ঞান কাজে লাগিয়ে বাস্তব জীবনে সফলতা কুড়িয়েছেন। ইতিহাস অনুসন্ধিসু সাদীর অনুসন্ধানী মন ও মননে দেশের পুরনো ঐতিহ্য দেখা ও লেখায় নেশায় পরিণত হয়ে যায়। সে নেশায় ২০১৩ সালে ছুটে যান গোপালগঞ্জ জেলার পুরাকীর্তির সন্ধানে। সেখানে বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিস্থলে যাওয়ার পথে ফেরি পারাপারের সময় একজন বললো আপনার দেশের বাড়ি কোথায় তখন তিনি বলেন কিশোরগঞ্জ। প্রতি উত্তরে লোকটি বললো সংসদে শুনতে পাই দেশ চালায় গোপালগঞ্জ যোড়ান দেয় কিশোরগঞ্জ। আর সেই কথার রেশ ধরেই তিনিও লিখে ফেলেন যেমন দেখেছি রাষ্ট্রপতির কিশোরগঞ্জ প্রধানমন্ত্রীর গোপালগঞ্জ নামে একটি প্রবন্ধ। সে প্রবন্ধটি স্থানীয় এবং জাতীয় পত্রিকায় ছাপা হলে এ বিষয়ে একটি বইও লিখে ফেলেন। শুধু তাই না। বঙ্গবন্ধুকে জানতে গিয়ে তিনি পত্রিকায় কলাম লিখেন। তার প্রতিষ্ঠিত যুব উন্নয়ন পরিষদের উদ্যোগে আয়োজন করেন “বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডে কিশোরগঞ্জে প্রথম প্রতিবাদ” শীর্ষক শিরোনামের সেমিনারেরও। নিজেও বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে বিস্তর গবেষণা শুরু করেন। নিয়মিত লেখালেখি চালিয়ে যান। সরকারীভাবে জেলা সরকারী গণগ্রন্থাগোরের ১৫ আগষ্টের জাতীয় শোক দিবস অনুষ্ঠানকে ঘিরে রচনা প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে সরকারীভাবে পেয়েছেন অনেক পুরস্কার ও সনদ। আমিনুল হক সাদী জানান,২০১৫ সালে জেলা সরকারী গণগ্রন্থাগারের জাতীয় শোক দিবসকে ঘিরে বঙ্গবন্ধুর জীবনের উপর রচনা আহবান করলে আমি তাতে অংশ নিয়ে জেলা পর্যায়ে ১ম স্থান অর্জন করে পুরস্কার ও সনদ পাই। সে বছর থেকে প্রতিটি প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে নানা পুরস্কার পেয়ে আসছি। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে লিখে ২০১৬ সালে জেলায় প্রথম, ২০১৭ সালে জেলায় দ্বিতীয়,২০১৮ ও ২০১৯ সালে তৃতীয়,২০২০ সালে দ্বিতীয় ও ২০২১ সালে তৃতীয় স্থান লাভ করে কৃতকার্য হয়েছি। ২০২২ সালে কিশোরগঞ্জ যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের আয়োজিত মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশের যুব শক্তি বিষয়ক রচনা প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণ করে জেলা পর্যায়ে প্রথম স্থান লাভ করে তিন হাজার টাকার প্রাইজবন্ড ক্রেস্ট ও সনদ লাভ করেন।
সাদীর সবচে বড় সফলতা হলো একজন সফল যুব সংগঠক হিসেবে। যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর হতে প্রশিক্ষণ নিয়ে এলাকার বেকার যুব সম্প্রদায়কে “যুব উন্নয়ন পরিষদের” ছায়াতলে সংগঠিত করে বিভিন্ন অফিস আদালতের মাধ্যমে বিশেষ করে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর থেকে বিভিন্ন ট্রেডে প্রশিক্ষণ দিয়ে সফল আত্নকর্মী হিসেবে গড়ে তোলেছেন কত শত যুবককে। অনেকেই প্রশিক্ষণলব্দ জ্ঞান কাজে লাগিয়ে যুব উন্নয়ন হতে ঝণ নিয়ে আজ সফলতার চুড়ান্ত শিকড়ে আরোহিত হয়েছেন। তারঁ প্রতিষ্ঠিত যুব উন্নয়ন পরিষদসহ একাধিক স্বেচ্ছাসেবী যুব সংগঠন গড়ে তোলেছেন। প্রশিক্ষণ দিয়েছেন প্রায় আড়াই শতাধিক বেকার যুব ও যুব নারীকেও। তাঁর প্রতিষ্ঠিত সংগঠনের সদস্যরাও সমাজে প্রতিষ্ঠিত। সংগঠনের নিবন্ধন দিয়ে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর সাদীর কার্যক্রমকে আরও সম্প্রসারিত করার সুযোগ করে দিয়েছে।
আমিনুল হক সাদী বলেন, জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের উক্তি “ বাংলার মানুষ বিশেষ করে তরুণ সম্প্রদায়কে আমাদের ইতিহাস জানতে হবে। বাংলার যে ছেলে তার অতীত বংশধরদের ঐতিহ্য সম্পর্কে জানতে পারে না সে ছেলে সত্যিকারের বাঙালি হতে পারে না” এর প্রতি আকৃষ্ঠ হয়ে ইতিহাস ঐতিহ্যর প্রতি মনোনিবেশ হই। গোপালগঞ্জে সফরে গিয়ে অন্যরকম অনুভূতি তৈরী হয়। পরে লিখেও ফেলি যেমন দেখেছি রাষ্ট্রপতির কিশোরগঞ্জ প্রধানমন্ত্রীর গোপালগঞ্জ নামে একটি বইও।
সাদী কিশোরগঞ্জ তথা স্থানীয় বেকার যুব নারী যুব মহিলাদের কাছে একজন অনুপ্রেরণার নাম। বঙ্গবন্ধুর জন্য নিবেদিত একজন যুব সংগঠক হয়ে দেশ বিদেশের সুনাম বয়ে আনাটাই এখন তার জীবনের লক্ষ্য। সে লক্ষ্য পুরণ হতে দরকার সরকারসহ সংশ্লিষ্টদের জরুরী পদক্ষেপ।