উদ্বোধনের পর স্বপ্নের পদ্মাসেতুতে যান চলাচল শুরু হয়েছে। সেতু পার হতে বেড়েছে মানুষের চাপ। তবে পদ্মাসেতু চালুর কোনো প্রভাব এখনো পড়েনি ঢাকার সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে। নিত্যদিনের মতোই সোমবার লঞ্চযাত্রীদের আসা-যাওয়ার চিত্র ছিল স্বাভাবিক। তবে সময়ের সঙ্গে এ চিত্র পাল্টে যাবে বলে মনে করছে সংশ্লিষ্টরা।
সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল ঘুরে দেখা যায়, সেতুতে যান চলাচল শুরু হলেও সদরঘাটে যাত্রীদের আনাগোনা ছিল স্বাভাবিক। লঞ্চে যাত্রীদের চাপ কমে যাওয়া বা সংকটের তেমন কোনো চিত্র চোখে পড়েনি। এদিন সদরঘাট থেকে ছেড়ে যাওয়া লঞ্চগুলোতেও যাত্রী সংকট দেখা যায়নি। অন্যান্য দিনের মতোই জমজমাট ছিল সদরঘাট এলাকা।
ঢাকা-মাদারীপুর-বরিশালগামী লঞ্চ পারাবতের ম্যানেজার সুমন খান বলেন, মানুষ সব সময় সহজ ও স্বাচ্ছন্দ্যে যাতায়াত করতে পছন্দ করেন। সেক্ষেত্রে লঞ্চে যাতায়াত করতে যাদের অসুবিধা তারা পদ্মাসেতু দিয়ে যাবেন। তবে লঞ্চেও বিশেষ সুযোগ সুবিধা আছে।
যাত্রীদের সংখ্যা যদি কমে তাহলে লঞ্চের সংখ্যা কমানো হবে বলেও জানান তিনি।
ঢাকা-বরগুনা-বরিশাল-ঝলকাটি রুটে যাতায়াত করে লঞ্চ এমভি রয়েল ক্রজ-২। এ লঞ্চের কেরানি মোহাম্মদ কামাল হোসেন বলেন, পদ্মাসেতু চালুর পর এখন পর্যন্ত যাত্রীদের চাপ স্বাভাবিক আছে। যাত্রীদের কমতি দেখা যায়নি। তবে সামনে কিছুটা হলেও প্রভাব পড়বে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ চলাচল (যাত্রী পরিবহন) সংস্থার সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট বদিউজ্জামাল বাদল ডেইলি বাংলাদেশকে বলেন, মাত্র সেতু চালু হলো। তাই তাৎক্ষণিকভাবে হয়তো লঞ্চের সুবিধা অনুযায়ী যাত্রী কমেনি। কিন্তু আগামীতে যাত্রী কমবে। এটা কেমন হবে তা এখনই বলা যাচ্ছে না। সপ্তাহ পেরোলে বোঝা যাবে।
এ বিষয়ে বিআইডব্লিউটিএর যুগ্ম পরিচালক শহিদুল্লাহ ডেইলি বাংলাদেশকে বলেন, সকালে ১৫টি লঞ্চ এসেছিল ঘাটে। সেখানে যাত্রীদের তেমন কমতি দেখা যায়নি; স্বাভাবিক ছিল। এক সপ্তাহ না গেলে বলা যাচ্ছে না পরিস্থিতি কেমন হবে। তবে ধারণা করা হচ্ছে যাত্রী কমবে।