রাজধানীর লালবাগে কলেজছাত্রীকে আটকে চার দিন ধরে ধর্ষণের চাঞ্চল্যকর ঘটনায় একজন আটক করা হয়েছে। ভুক্তভোগী ঐ কলেজছাত্রীকে নেশাজাতীয় দ্রব্য খাইয়ে ধর্ষণ করা হয়ে বলে জানিয়েছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন (র্যাব)।
বৃহস্পতিবার সকালে কারওয়ান বাজারে অবস্থিত র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, সম্প্রতি রাজধানীর লালবাগ এলাকা থেকে কলেজ ছাত্রীকে তুলে নিয়ে চার দিন আটকে রেখে গণধর্ষণের ঘটনা প্রচারিত হলে দেশব্যাপী ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি র্যাব গোয়েন্দা নজরদারি শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব সদর দফতরের গোয়েন্দা শাখার সহযোগিতায় র্যাব-৩ এর একটি দল গতরাতে রাজধানীর চকবাজার থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আলোচিত ধর্ষণের প্রধান অভিযুক্ত মো. মনির হোসেন শুভকে আটক করে।
তিনি বলেন, প্রাইভেট পড়তে শিক্ষকের বাসায় যাচ্ছিলেন কলেজছাত্রী। পথে লালবাগের কেল্লার মোড়ে পৌঁছালে তার মুখে রুমাল চেপে ধরে পূর্বপরিচিত আল আমিন ও শুভ। এরপরই অচেতন হন ছাত্রী। নিজেকে আবিষ্কার করেন একটি পরিত্যক্ত ভবনে। টানা চারদিন তাকে সেখানে আটকে রেখে পালাক্রমে ধর্ষণ করা হয়। অবশেষে ছাত্রী অসুস্থ হলেই কেবল বুধবার তারা তাকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির রাজু ভাস্কর্যের সামনে অসুস্থ অবস্থায় ফেলে পালিয়ে যায় অভিযুক্তরা।
এদিনই ভুক্তভোগী ছাত্রীকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন এক নারী। ভুক্তভোগীর বরাত দিয়ে হাসপাতাল সূত্র এসব তথ্য জানিয়েছে।
বর্তমানে ভুক্তভোগী সেই ছাত্রী ঢামেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে।
ভিকটিমের অভিযোগ সূত্রে জনা যায়, গত ১২ ফেব্রুয়ারি আনুমানিক সকাল ১০টায় ঐ তরুণী প্রাইভেট পড়তে শিক্ষকের বাসায় যাচ্ছিলেন। এ সময় পথে লালবাগ কেল্লার মোড়ে শুভ ও আলামিন তার মুখে রুমাল চেপে রিকশায় তুলে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। সেখানে তারা তাকে নেশা জাতীয় দ্রব্য খাইয়ে চার দিন আটকে রেখে শারীরিক নির্যাতন ও ধর্ষণ করে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানায় যে, সে বর্তমানে বিবিএ শিক্ষার্থী। জিজ্ঞাসাবাদে সে দাবি করেছে ভিকটিমের সঙ্গে গত এক মাস আগে লালবাগের একটি বাসায় তার এক বন্ধুর মাধ্যমে পরিচয় হয়।
বাকিদের আটক করতে আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে বলেও জানান র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।