টি-২০ বিশ্বকাপে ওমানের বিপক্ষে ম্যাচটি বাংলাদেশের জন্য পরিণত হয়েছিল ডু অর ডাই ম্যাচে। অর্থাৎ হারলেই বাদ। নিজেদের প্রথম ম্যাচে স্কটল্যান্ডের কাছে হারায় এমন অবস্থায় সম্মুখীন হয়েছিল টাইগাররা। তবে স্বস্তির জয়ে সুপার টুয়েলভ স্বপ্ন বাঁচিয়ে রেখেছে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দল।
প্রথমে ব্যাট করে ইনিংসের শেষ বলে অল আউট হওয়ার আগে বাংলাদেশের সংগ্রহ ছিল ১৫৩ রান। জবাবে ৯ উইকেটে ১২৮ রানে থেমেছে ওমানের ইনিংস। বাংলাদেশের জয় ২৫ রানে।
ওমানের হয়ে ইনিংস উদ্বোধনে নামেন আকিব ইলিয়াস ও জাতিন্দর সিং। নিজের প্রথম বলেই আকিবকে ফিরিয়ে শুভসূচনা এনে দেন মুস্তাফিজুর রহমান। স্বাগতিক দলের ওপেনার ফেরেন ৬ রানে।
এরপর কাশ্যপ প্রজাপতি ও জাতিন্দর মিলে দ্রুত রান তুলতে থাকেন। পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে ম্যাচ নিজেদের হাতে নেয়ার সুযোগ পেয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু জাতিন্দরের তুলে দেওয়া বল তালুবন্দী করতে পারেননি টাইগার দলপতি রিয়াদ।
হতাশার মাঝে স্বস্তি এনে দেন দ্য ফিজ। একই ওভারে ২১ রান করা প্রজাপতিকে ফেরান তিনি। তবে এতেও ওমানের রান তোলার গতি কমে যায়নি। অধিনায়ক জিসান মাকসুদ ও জাতিন্দর মিলে ম্যাচ অনেকটাই হাতের মুঠোয় নিয়ে আসেন।
১১ ওভার শেষে ওমানের সংগ্রহ ছিল ২ উইকেটে ৮১ রান। এই অবস্থায় আঘাত হানেন মাহেদী হাসান। তখন থেকে আসা যাওয়ার মিছিলে যোগ দেন স্বাগতিক দলের ব্যাটসম্যানরা।
সাজঘরে ফেরার আগে দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪০ রান করেন জাতিন্দর, জিসান করেন ১২ রান। এরপর আর কেউই দুই অংকের ঘরে রান করতে পারেননি। বাংলাদেশের হয়ে ৪ উইকেট নেন মুস্তাফিজুর রহমান। এছাড়া সাকিব নেন ৩ উইকেট।
এর আগে ওমানের আল আমেরাত ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। দলের হয়ে ইনিংস উদ্বোধনে নামেন লিটন দাস ও নাঈম শেখ।
দেখে-শুনে শুরুর চেষ্টা করলেও বড় ইনিংস খেলতে ব্যর্থ হন লিটন। ইনিংসের তৃতীয় ওভারে বিলাল খানের বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন তিনি। এর আগে ৭ বলে মাত্র ৬ রান করেন এই ওপেনার।
ব্যাটিং অর্ডারে প্রমোশন পাওয়া মাহেদি হাসান ব্যাট হাতে কিছু করতে পারেননি। রানের খাতা খোলার আগেই ফায়াজ বাটের বলে তার হাতেই ক্যাচ তুলে দেন তিনি।
২১ রানেই ২ উইকেট হারানোর পর দেখেশুনে ইনিংস এগিয়ে নিতে থাকেন নাঈম ও সাকিব আল হাসান। নাঈম অবশ্য মাঝে দুইবার ক্যাচ তুলে দিলেও জীবন পান। অন্যদিকে সাকিব খেলতে থাকেন নিজের মতো করে।
দুজনের ব্যাটে যখন আধিপত্য বিস্তারের পথে বাংলাদেশ, তখনই রান আউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন সাকিব। এর আগে ৪২ রান করেন টাইগার অলরাউন্ডার। একইসঙ্গে ভাঙে দুজনের ৮০ রানের জুটি।
সাকিব ফেরার পরই ব্যাটিং ধসের সম্মুখীন হয় বাংলাদেশ। নুরুল হাসান সোহান ৩ ও আফিফ হোসেন ১ রানে ফেরেন। এর আগে ৪৩ বলে ফিফটি পূরণ করেন নাঈম। পুল করতে গিয়ে তিনি আউট হন ৬৪ রানে।
মুশফিকুর রহিম ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনও এদিন ব্যাট হাতে ব্যর্থ। শেষ দিকে রিয়াদের ১৭ রানের ক্যামিওতে বড় সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ। ওমানের হয়ে তিনটি করে উইকেট নেন ফায়াজ বাট ও বিলাল খান। এছাড়া কালিমুল্লাহ দুটি এবং জিসান মাকসুদ একটি উইকেট শিকার করেন।