টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে টিকে থাকার লড়াইয়ে আজ মঙ্গলবার স্বাগতিক ওমানের মুখোমুখি হচ্ছে মাহমুদউল্লাহ বাহিনী। মাস্কটের আল-আমিরাত স্টেডিয়ামে খেলা শুরু হবে রাত আটটায়।
এ ম্যাচে টাইগারদের জয়ের বিকল্প নেই। দিনের অন্য ম্যাচে বিকেল চারটায় পাপুয়া নিউ গিনির বিপক্ষে লড়বে আত্মবিশ্বাসী স্কটল্যান্ড।
টানা তিনটি সিরিজ জয়ের গৌরব নিয়ে বিশ্বকাপ মিশনে নামা বাংলাদেশ এখন পুরোপুরি ব্যাকফুটে। প্রথম ম্যাচেই স্কটল্যান্ডের কাছে হার নির্দেশ করছে প্রস্তুতি ম্যাচে আয়ারল্যান্ড ও শ্রীলংকার কাছে পরাজয় থেকে শিক্ষা নেয়নি টাইগাররা। ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডকে হারানোর আত্মবিশ্বাসে এখন চিড় ধরাটাই স্বাভাবিক।
ঘরের মাঠেও টাইগারদের প্রধান চিন্তা ছিল ব্যাটিং। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও সেই একই ভাবনা। টপ অর্ডার বা মিডল অর্ডার নেই ছন্দে। স্লগ-ওভারে রান তোলার সংকট তো বেশ পুরনো। তাই ওমানের বিপক্ষে ব্যাটিং অর্ডারে কিছুটা পরিবর্তন আসতেই পারে বৈকি!
বিপরীতে পাপুয়া নিউগিনিকে ১০ উইকেটে হারিয়ে আত্মবিশ্বাসের তুঙ্গে ওমান। টপঅর্ডার ব্যাটসম্যানদের ফর্ম নির্ভরতার প্রতীক স্বাগতিকদের জন্য। পেস ও স্পিনের সমন্বয়টাও দারুণ। বিভিন্ন দেশের ক্রিকেটারদের নিয়ে তৈরি ওমান দল তাদের বৈচিত্র্যকে বেশ ভালভাবেই ফুটিয়ে তুলেছে। সঙ্গে স্বাগতিক দর্শকের সুবিধা তো থাকছেই। ওমান ক্রিকেটারদের মাথায় থাকতে পারে ২০১৬ বিশ্বকাপে টাইগারদের কাছে হারের প্রতিশোধ আকাঙ্খাও।
অন্যম্যাচে পাপুয়া নিউ গিনির বিপক্ষে আত্মবিশ্বাস সঙ্গী হবে স্কটল্যান্ডের। টেস্ট খেলুড়ে বাংলাদেশকে হারিয়ে অভিযান শুরু করা স্কটিশদের চোখ তাই টানা দ্বিতীয় জয়ে। হার্ড হিটিংয়ের সক্ষমতা রয়েছে স্কটিশ ব্যাটসম্যানদের। বোলাররাও দেখিয়েছে নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের নজির।
প্রথমবারের মতো বিশ্ব আসরে পা রাখা পাপুয়া নিউ গিনির জন্য অংশগ্রহণই আসল কথা। প্রথম ম্যাচে হার তাই শিক্ষার একটা অংশ তাদের জন্য। তবে দীর্ঘ বাছাইপর্বে যোগ্যতার স্বাক্ষর রাখা ব্যারামুন্ডিসরা খুব সহজে হার নাও মানতে পারে।