সাফের ফাইনালে ২-০ গোলে নেপালকে হারিয়ে ৮ম বারের মতো শিরোপা জিতল ভারত। আজ ফাইনালে এক গোল করে লিওনেল মেসির জাতীয় দলের হয়ে ৮০ গোলের কীর্তি স্পর্শ করেছেন। সুনীল দক্ষিণ এশিয়ার ফুটবলার হয়েও নিজেকে ভিন্ন উচ্চতায় নিয়ে গেছেন।
এই টুর্নামেন্টে অসাধারণ খেলেছেন অধিনায়ক সুনীল ছেত্রী। পাঁচ ম্যাচে পাঁচ গোল করেছেন। টুর্নামেন্টের গোলের শুরু করেছিলেন বাংলাদেশের বিপক্ষে। নেপালের বিপক্ষে একমাত্র জয়সূচক গোল করে পেলেকে স্পর্শ করেন। এরপর স্বাগতিক মালদ্বীপের বিপক্ষে জোড়া গোল করে পেলেকে অতিক্রম করেন।
প্রথমার্ধ গোলশূন্য থাকলেও দ্বিতীয়ার্ধের দুই মিনিটের ঝড়ে নেপালের প্রথম সাফ শিরোপার স্বপ্ন ভেঙে যায়। ৪৮ মিনিট ডান প্রান্ত থেকে মানবীর সিংয়ের ক্রস অধিনায়ক সুনীল ছেত্রীর হেডে এলো ভারতের অনেক আকাঙ্ক্ষিত সেই গোল। দুই মিনিট পর ব্যবধান দ্বিগুণ হলো। এবারও একই প্রান্ত ব্যবহার করে। আগের বার ছিল ক্রস, এবার স্কয়ার পাসে বক্সের মধ্যে ফ্রি বল পান সুরেশ সিং। আড়াআড়ি শটে গোলরক্ষক কিরণ লিম্বুকে পরাস্ত করেন। দুই গোলে পিছিয়ে পড়ে নেপাল গোলের চেষ্টা করে। তবে ভাগ্য তাদের সহায়তা করেনি তেমন। নেপালের আক্রমণ ক্রসবারে লেগে ফেরত আসে। শেষ মুহূর্তে নেপালের কফিনে শেষ পেরেকটা ঠোকেন সাহাল আব্দুল সামাদ।
বল পজেশন ও আক্রমণে ভারত এগিয়ে থাকলেও ম্যাচে গোলের সুযোগ বেশি পেয়েছে নেপাল। তবে ফরোয়ার্ডদের ব্যর্থতায় গোল পায়নি নেপাল। নেপালের মিডফিল্ডারদের ভুল পাসে ভারত কয়েকবার গোলের সুযোগে পেলেও কাজে লাগাতে ব্যর্থ হয়।
বৃষ্টিতে স্বাভাবিক খেলাটা খেলতে বেশ বেগই পেতে হচ্ছে দুই দলকে। নেপালের অভিজ্ঞ গোলরক্ষক কিরণ লিম্বুই যেমন, ভেজা মাঠে শট নিতে গিয়ে পিছলে পড়লেন তিনবার, বলের গ্রিপ নিতেও সমস্যায় পড়েছেন বারকয়েক।
তবে প্রথমার্ধের সবচেয়ে বড় সুযোগটা এসেছিল ভারতের কাছে। অধিনায়ক সুনীল ছেত্রী ৪০ মিনিটে দারুণ সুযোগটা যদি মিস না করতেন, তাহলে হয়তো প্রথমার্ধে ১-০ গোলে এগিয়েই যেত নীল বাঘরা। বাঁ প্রান্ত থেকে পাওয়া ক্রসটা তিনি পেয়ে যান অরক্ষিত গোল পোস্টের সামনে। তার করা সেই হেডার চলে যায় পোস্টের উপর দিয়ে। ফলে প্রথমার্ধ শেষ হয় গোলহীনভাবেই। তবে প্রথমার্ধের সেই গোল না পাওয়ার আক্ষেপ ছেত্রী ঘুচিয়েছেন দ্বিতীয়ার্ধে। ভারতের গোল উৎসবের শুরুটা করেছেন, ছুঁয়েছেন মেসিকে; ভারতের শিরোপা পুনরুদ্ধারের সোপানটাও গড়া হয়ে যায় তাতে।