আদৌও তিনি প্রথম একাদশে থাকবেন কি-না, তা নিয়ে প্রশ্ন ছিল। আর সেই তিনিই আইপিএলের এলিমিনেটরে কলকাতা নাইট রাইডার্সকে (কেকেআর) জেতালেন। তিনি আর কেউ নন, বিশ্বের সর্বকালের অন্যতম সেরা অল-রাউন্ডার সাকিব আল হাসান।
সোমবার আইপিএলের এলিমিনেটরে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের বিরুদ্ধে সাকিব যখন নেমেছিলেন, তখন ১৩ রান বাকি ছিল। হাতে ছিল ১৪ বল এবং চার উইকেট। রানটা বড় না হলেও রীতিমতো চাপে ছিল কেকেআর। সেই ওভারেই জোড়া উইকেট হারিয়েছিলেন নাইটরা।
সেখান থেকে নিজের যাবতীয় অভিজ্ঞতা কাজে লাগান সাকিব। প্রথম বলেই এক রান নেন। বড় শট না খেলে এক রান নিয়ে দলকে টানতে থাকেন। শেষ ওভারে ৭ রান বাকি থাকা অবস্থায় ‘আশরাফুল শর্ট’ খেলে বাউন্ডারিতে পাঠিয়ে দেন বল। তারপরই হাতের মুঠোয় ম্যাচ পুরে নেয় কেকেআর। জয়সূচক রানও নেন সাকিব। শেষপর্যন্ত ছয় বলে ৯ রানে অপরাজিত থাকেন বাংলাদেশের তারকা ক্রিকেটার।
জিতলে ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত নয়। তবে হারলে ছিটকে যেতে হবে টুর্নামেন্ট থেকে। আইপিএল ২০২১-এর এলিমিনেটরে এরকমই ডু-অর-ডাই ম্যাচে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের মুখোমুখি হয়ে জয় চিনিয়ে নিলো কলকাতা নাইট রাইডার্স।
টসে জিতেই সোমবার কোহলী জানিয়েছিলেন, পিচ দেখে তার ভালো লেগেছে। মনে হয়েছে প্রথমে ব্যাট করার পক্ষে উপযুক্ত। তিনি এবং দেবদত্ত পাড়িক্কল মিলে শুরুটা ভালো করেছিলেন। কিন্তু টসের সময় বাকিরা কোহলীর বার্তা বোধহয় ঠিক ভাবে শুনতে পাননি। না হলে প্রথম উইকেট পতনের পরেই এভাবে ব্যাটিং বিপর্যয়ের মুখে পড়তে হত না।
কেকেআর-এর শুরুটা হয়েছিল কেকেআর-এর মতোই। বেঙ্কটেশ আয়ার এবং শুভমন গিল আগের ম্যাচগুলির মতোই ভরসা দিয়েছিলেন দলকে। প্রথম জুটিতে ৪১ উঠে যায়। পরপর দু’ওভারে শুভমন (২৯) এবং রাহুল ত্রিপাঠি (৬) ফিরলেও কেকেআর চাপে পড়েনি। তবে ম্যাচটা কলকাতার পক্ষে এনে দিয়েছে ব্যাটার নারাইনের কামাল। বেঙ্কটেশ ফেরার পরেই ওভারেই সিরাজকে তিনটি ছক্কা মারলেন তিনি। সেই ওভার থেকে এল ২২।