আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আওয়ামী লীগ হলো জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দল। এ দলের নেতৃত্বাধীন সরকার মানুষের চাহিদা ও মনের ভাষা বুঝে দেশের উন্নয়ন করছে। সেজন্য আওয়ামী লীগ আগামী জাতীয় নির্বাচনে আরো স্মার্ট পার্টি হিসেবে অংশ নেবে।
সোমবার রাজধানীর মোহাম্মদপুর ২৯ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ আয়োজিত ইউনিট সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ সবসময় সাধারণ মানুষের কাছাকাছি থাকে। এজন্য আওয়ামী লীগ থেকে বিএনপি সবদিকে পিছিয়ে আছে। বিএনপি-জামায়াত সরকারের চুরির ইতিহাস সবার জানা। কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকার সাহসী সরকার। নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মাসেতু করে তা প্রমাণ করে দিয়েছে।
সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, ঢাকা উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক এসএম মান্নান কচি, সহ-সভাপতি সাদেক খান এমপিসহ স্থানীয় নেতাকর্মী।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, দলের নির্দেশ মতো ওয়ার্ড কমিটি করতে হবে। সম্মেলন ও কমিটির মাধ্যম তৃণমূলের রেষারেষি থেমে যাবে। এ ধারাবাহিকতায় ওয়ার্ড, থানা ও জেলা সম্মেলন হবে। দলের মধ্যে কোনো অপরাধীকে জায়গা দেওয়া হবে না। একই সঙ্গে ত্যাগীদের মূল্যায়ন করতে হবে।
তিনি আরো বলেন, বিএনপি জনগণ ও দেশের জন্য কোনো কাজ করে না। তারা সবসময় সরকারের সমালোচনা করতে থাকে। আওয়ামী লীগের উন্নয়ন দেখলে তাদের আরো বেশি গা জ্বালা করে। দেশ ও জনগণের বিরুদ্ধে তারা ষড়যন্ত্র করেই যাবে। বিএনপি কখনোই ষড়যন্ত্র বন্ধ করবে না। বিএনপির অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্রের জবাব আওয়ামী লীগের উন্নয়ন আর ভালো আচরণের মধ্যে দিয়ে দেওয়া হবে।
সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, বাংলাদেশে এত বড় বড় প্রকল্পের কথা কোনো রাজনৈতিক দল কখনো ভাবতে পারেনি। কিন্তু আওয়ামী লীগ তা দেশের টাকায় করে দেখিয়েছে। এ মেগা প্রকল্পগুলো চালু হলে বিএনপি নেতাদের মুখ বন্ধ হয়ে যাবে।
বিএনপির ঘরে বিচ্ছেদ চলছে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি নেতারা একে একে দল ছেড়ে চলে যাচ্ছেন। বিএনপির ঘরেই গণতন্ত্র নেই। তারা দেশের গণতন্ত্র ধ্বংস করেছিল। শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করে দেশের মানুষের জন্য জীবনবাজি রেখে দেশের গণতন্ত্র ফিরিয়ে এনেছেন।