তিন দিন আগেই ভারতের একটি শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যমের খবর, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর সীমিত ওভারের দলের নেতৃত্ব থেকে সরে দাঁড়াচ্ছেন বিরাট কোহলি। পরে ভারতীয় ক্রিকেট নিয়ন্ত্রণ বোর্ডের সেক্রেটারি জয় শাহ ওই খবরকে গুঞ্জন বলে উড়িয়ে দেন। কিন্তু গুঞ্জন নয়, বিশ্বকাপের পর ক্রিকেটের ছোট সংস্করণে আর অধিনায়ক থাকছেন না ডানহাতি ব্যাটসম্যান।
আগামী অক্টোবর-নভেম্বরে সংযুক্ত আরব আমিরাতে হতে যাওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর এই দায়িত্ব ছেড়ে দেবেন কোহলি। টুইটারে টুইট করে এই সিদ্ধান্তের কথা জানান তিনি। তিন ফরম্যাটে খেলার জন্য কিছুটা ভারমুক্ত হতে চান বলেই এই সিদ্ধান্ত।
কোহলি এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘ভারতকে শুধু প্রতিনিধিত্ব করাই নয়, আমার সর্বোচ্চ সামর্থ্য দিয়ে ভারতীয় ক্রিকেট দলকে নেতৃত্ব দিতে পারাটা ছিল সৌভাগ্যের। আমি এটা করতে পারতাম না তাদের ছাড়া- সতীর্থ, সাপোর্ট স্টাফ, সিলেকশন কমিটি, আমার কোচরা এবং সব ভক্ত যারা আমাদের জয়ের জন্য প্রার্থনা করেছেন।’
তিনি আরও যোগ করেছেন, ‘কাজের চাপ বুঝতে পারা খুব গুরুত্বপূর্ণ এবং গত ৮-৯ বছর ধরে তিন ফরম্যাটেই খেলে যাওয়া ও পাঁচ-ছয় বছরে ধরে নেতৃত্বে দেওয়ার যে চাপ, সেটা বিবেচনা করে আমি বুঝতে পারছি টেস্ট ও ওয়ানডে ক্রিকেটে ভারতীয় দলকে পুরোপুরি নেতৃত্ব দিতে প্রস্তুত থাকার জন্য আমার নিজেকে সময় দেওয়া প্রয়োজন।’
প্রধান কোচ রবি শাস্ত্রী ও ওপেনিং ব্যাটসম্যান রোহিত শর্মার সঙ্গে আলোচনা করে এই সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর কথা বলেছেন ৪৫ টি-টোয়েন্টিতে নেতৃত্ব দেওয়া কোহলি, ‘হ্যাঁ, এই সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে অনেক সময় লেগেছে। আমার ঘনিষ্ঠজন, রবি ভাই এবং রোহিতের সঙ্গেও অনেক আলোচনা করেছি, যারা নেতৃস্থানীয় গ্রুপের অপরিহার্য অংশ। তারপরই আমি অক্টোবরে দুবাইতে হতে যাওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শেষে টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক হিসেবে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
কোহলি আরও বলেন, ‘আমি বিসিসিআইর সেক্রেটারি জয় শাহ ও প্রেসিডেন্ট সৌরভ গাঙ্গুলির সঙ্গেও কথা বলেছি, সব নির্বাচকদের সঙ্গেও। আমি আমার সেরাটা দিয়ে ভারতীয় ক্রিকেট ও ভারতীয় দলকে সেবা দিয়ে যাব।’
ধারণা করা হচ্ছে, রোহিতকেই দেওয়া হবে নেতৃত্বের ভার। ১৯ টি-টোয়েন্টিতে অধিনায়কত্ব করে ১৫টি জয় পেয়েছেন তিনি। এছাড়া তার অধীনে দুটি বহুজাতিক ইভেন্ট জিতেছে ভারত। ২০১৮ সালে নিদাহাস ত্রিদেশীয় সিরিজ ও একই বছর ওয়ানডে এশিয়া কাপ। বীরেন্দর শেবাগের পর কেবল তিনিই অধিনায়ক হিসেবে ওয়ানডেতে ডাবল সেঞ্চুরি হাঁকান।