জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ১৭ বছরের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিত করে মুক্তির মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়ানোর মত দিয়েছে আইন মন্ত্রণালয়।
সম্প্রতি খালেদা জিয়ার পরিবারের পক্ষ থেকে সাজা স্থগিত ও মুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করা হয়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে মতামতের জন্য আবেদনটি আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠায়।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক গত ৭ সেপ্টেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে আবেদনের বিষয়ে মতামত জানান। তাতে তিনি খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়ানোর সুপারিশ করেন।
সাজা স্থগিতের জন্য মতামতসহ প্রস্তাব স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
মন্ত্রী বলেন, এ বিষয়ে আমরা আমাদের মতামত দিয়ে দিয়েছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনের জন্য মতামতসহ প্রস্তাব আমরা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে দিয়েছি। আমরা ওনার (খালেদা জিয়া) দণ্ড আরও ছয় মাস স্থগিতের জন্য মতামত দিয়েছি।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ১৭ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হয়ে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে কারাগারে ছিলেন খালেদা জিয়া।
২৫ মাস কারাভোগের পর করোনা পরিস্থিতিতে ২০২০ সালের ২৫ মার্চ শর্তসাপেক্ষে খালেদা জিয়ার সাজা ৬ মাসের জন্য মুক্তি দেয় সরকার। শর্তের মধ্যে ছিল তাকে দেশেই চিকিৎসা নিতে হবে এবং দেশের বাইরে যেতে পারবেন না।
এরপর আরও দুই দফায় শর্ত সাপেক্ষে সাজা স্থগিত ও মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হয়।
তৃতীয় দফায় দণ্ড স্থগিতের মেয়াদ চলতি সেপ্টেম্বরে শেষ হতে যাচ্ছে। মেয়াদ শেষের আগেই খালেদার ভাই শামীম এস্কান্দার আবেদন করেন। এর প্রেক্ষিতে খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ আরও ৬ মাস বাড়ানোর মতামত দিল আইন মন্ত্রণালয়।
প্রধানমন্ত্রী অনুমোদন করার পরেই এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক আদেশ জারি হবে।
গত বছরের মার্চে কারাগার থেকে মুক্তির পর গুলশানের নিজ বাসভবন ফিরোজাতেই আছেন খালেদা জিয়া। মাঝে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর কিছুদিন হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন তিনি।