করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সরকারঘোষিত ১৪ দিনের কঠোর লকডাউনের আজ দ্বিতীয় দিন। শনিবার সকাল থেকেই রাজধানীর প্রায় সড়কই ফাঁকা দেখা গেছে। রাস্তায় যানবাহন একেবারে নেই বললেই চলে। তবে প্রাইভেটকার, রিকশা, মোটরসাইকেল, অ্যাম্বুলেন্সসহ দেখা গেছে ছোট ছোট কিছু যানবাহন।
সরেজমিনে রাজধানীর আব্দুল্লাহপুর, আজমপুর, এয়ারপোর্ট, খিলক্ষেত, মহাখালী, বাড্ডা, রামপুরা, মগবাজার ও কাকরাইলসহ বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে দেখা গেছে পুলিশের চেকপোস্ট। কেউ অযথা বের হলে করতে হচ্ছে জবাবদিহিতা। সঠিক জবাব দেওয়ার পরেই ছাড় পাচ্ছেন অনেকে।
এদিকে কঠোর বিধিনিষেধের প্রথম দিন ৪০৩ জনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। শুক্রবার সন্ধ্যায় ডিএমপির মিডিয়া ও পাবলিক রিলেসন্স বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) ইফতেখারুল ইসলাম বলেন, জরুরি প্রয়োজন ছাড়া অহেতুক ঘোরাফেরা করায় রাজধানীর বিভিন্ন থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৪০৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়া ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ২০৩ জনকে ১ লাখ ২৭ হাজার ২৭০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
বিধিনিষেধ নিশ্চিত করতে পুলিশ, বিজিবির পাশাপাশি মাঠে রয়েছে সেনাবাহিনী। রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে দেখা গেছে সেনাববাহিনীর টহল। এবারের বিধিনিষেধে প্রশাসন গতবারের চেয়েও কঠোর থাকবে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।
তিনি বলেন, অফিস-আদালত, গার্মেন্টস-কলকারখানা ও রফতানিমুখী সব কিছুই বন্ধ থাকবে। এটা এ যাবতকালের সর্বাত্মক কঠোর বিধিনিষেধ হতে যাচ্ছে। এ সময় মানুষের বাইরে আসার প্রয়োজনই হবে না। কারণ অফিসে যাওয়ার বিষয় নেই। যারা গ্রামে গেছেন, তারা জানেন যে অফিস বন্ধ। তাদের ৫ তারিখের পরে আসতে হবে।
এদিকে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে, বিধিনিষেধের মধ্যে ফেরিতে যাত্রীবাহী সব ধরনের যান পরিবহন বন্ধ থাকবে। কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুধু জরুরি পণ্যবাহী যান ও অ্যাম্বুলেন্স পারাপার করা হবে।
তবে কঠোর বিধিনিষেধের আওতার বাইরে থাকবে কোরবানির পশুর চামড়া সংশ্লিষ্ট খাত, খাদ্যপণ্য এবং কোভিড-১৯ প্রতিরোধে পণ্য ও ওষুধ উৎপাদনকারী শিল্প প্রতিষ্ঠান।
এর পাশাপাশি রোববার থেকে সীমিত পরিসরে চলবে ব্যাংকিং কার্যক্রম। একই সঙ্গে খোলা থাকবে বীমা কোম্পানির কার্যালয় ও শেয়ারবাজার। ১৪ দিনের এ কঠোর বিধিনিষেধ চলবে আগামী ৫ আগস্ট রাত ১২টা পর্যন্ত।