করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) সংক্রমণ ঠেকাতে সরকারঘোষিত সপ্তাহব্যাপী কঠোর লকডাউনের আজ বুধবার সপ্তম দিন চলছে। কঠোর বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে আজও মাঠে তৎপর রয়েছে সেনাবাহিনী, পুলিশ, র্যাব ও বিজিবি। রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে টহল দিচ্ছেন তারা।
জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের হলে জরিমানা এবং গ্রেফতারও করা হচ্ছে। তবে জরুরি পরিষেবায় নিয়োজিতরা পরিচয়পত্র দেখিয়ে ও প্রয়োজনীয়তার বিষয়টি তল্লাশির সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জানিয়ে গন্তব্যে বা কর্মস্থলে যেতে পারছেন।
এদিকে কঠোর লকডাউনের ষষ্ঠ দিন গতকাল রাজধানীর সড়কে যানবাহন ও লোকজনের প্রচণ্ড ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। আজ বুধবারও সকালের দিকে ব্যক্তিগত যানবাহন ও মোটরাসাইকের চাপ লক্ষ্য করা গেছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মানুষের উপস্থিতিও বাড়তে থাকে। সড়কে বেশ পরিমাণে রিকশাও দেখা যায়।
সকাল থেকেই আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সড়কের বিভিন্ন চেকপোস্টে সতর্ক অবস্থায় দেখা গেছে। প্রায় প্রতিটি গাড়িই থামিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন। এতে চেকপোস্টগুলোতে কিছুটা জটলা দেখা গেছে। এছাড়া সকাল ৯টা থেকেই রাজধানীতে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি হচ্ছে। এরপরও সড়কে অফিসগামী মানুষের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।
জরুরি প্রয়োজন ছাড়া অযৌক্তিক কারণে বাইরে বের হওয়ায় রাজধানীতে প্রথম দিন ৫৫০ জন, দ্বিতীয় দিন ৩২০ জন, তৃতীয় দিনে ৬২১ জন, চতুর্থ দিনে ৬১৮ জন ও ৫ম দিন ৫০৯ জনকে জরিমানা করা হয়েছে।
আর কঠোর লকডাউনের ষষ্ঠ দিনে সারাদেশে র্যাবের ১৯১টি টহল এবং ২০৭টি চেকপোস্ট পরিচালনা করা হয়। সারাদেশে র্যাব ৫০টি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে। এ ছাড়া স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে উদ্বুদ্ধকরণে বিনামূল্যে ৩ হাজারের অধিক মাস্ক এবং বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিতরণ করা হয়।
দেশে করোনাভাইরাসে মৃত্যু ও সংক্রমণ উদ্বেগজনকহারে বাড়ায় গত সোমবার দুপুরে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এক প্রজ্ঞাপন জারি করে কঠোর লকডাউন ১৪ জুলাই পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাসজনিত রোগ সংক্রমণের বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় আগের সব বিধিনিষেধ ও কার্যক্রমের ধারাবাহিকতায় ৭ জুলাই মধ্যরাত থেকে ১৪ জুলাই মধ্যরাত ১২টা পর্যন্ত এ বিধিনিষেধ আরোপের সময়সীমা বাড়ানো হলো।