করোনাভাইরাসের কারণে আবারও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি বাড়ানোর চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। নতুন করে আরও ১৫ দিন থেকে এক মাস ছুটি বাড়ানো হতে পারে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে শনিবার (৯ জানুয়ারি) প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন জানান, পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা হবে না। ফের ছুটি বাড়ানো হতে পারে। প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন। তিনি বলেন, পরিস্থিতি বিবেচনায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি বাড়লেও আমাদের অনলাইন পাঠদান কার্যক্রম চলমান থাকবে। জানতে চাইলে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক সৈয়দ গোলাম ফারুক জানান, এখনো পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি। স্কুল খোলার মতো কোনো অবস্থা নেই। এ পরিস্থিতিতে ১৬ জানুয়ারির পর আবারও ছুটি বাড়ানো হতে পারে। শিক্ষামন্ত্রী সরকার প্রধানের সঙ্গে কথা বলে কতদিন ছুটি বাড়ানো যায় সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন। এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি আরও ১৫ দিন থেকে এক মাস বাড়তে পারে। দু’একদিনের মধ্যে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানা যাবে। জানা গেছে, করোনার কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের চলমান ছুটি কয়েক ধাপে বাড়িয়ে আগামী ১৬ জানুয়ারি পর্যন্ত করা হয়। গত ১৮ ডিসেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ ছুটির কথায় জানায়।তবে সম্প্রতি শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে জানান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার প্রস্তুতি শুরু করা হয়েছে। আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে আংশিক স্কুল খোলা হতে পারে। চলতি বছরের এসএসসি ও এইচএসসির পাবলিক পরীক্ষার প্রস্তুতি শুরু করতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হবে। এক্ষেত্রে করোনা পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলেও জানান তিনি। বর্তমান মহামারি স্বাভাবিক না হওয়ায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আরেক দফায় ছুটি বাড়ানোর চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে।