মুক্তিযোদ্ধার অবমাননা ও মুক্তিযু্দ্ধের ইতিহাস বিকৃতি এবং শহীদ মৌলভী সৈয়দ আহমদের বড়ভাই মুক্তিযোদ্ধা ডা. আশরাফ আলীকে রাষ্ট্রীয় সম্মান না জানানোর প্রতিবাদে আয়োজিত মানববন্ধনে হামলা ঘটনা ঘটেছে। আর এতে সাংবাদিকসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। এসময় হামলাকারীদের ধাওয়া ও লাঠিচার্জ করে ছত্রভঙ্গ করে দেয় পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে তিনজনকে আটক করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
২৪ আগস্ট সোমবার ১২ টার দিকে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
নগর মুক্তিযো্দ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড এ মানববন্ধনের আয়োজন করেছিলেন। এ হামলার জন্য বাঁশখালীর সাংসদ মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীর অনুসারীদের দায়ী করেছেন সংগঠনটির নেতাকর্মীরা।
আহতরা হলেন, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আবুল হাশেম, মৌলভী সৈয়দ আহমদের ভাতিজা জহির উদ্দিন বাবর, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য আবু সাদাত মোহাম্মদ সায়েম, ছাত্রলীগ নেতা আরমান হোসেন, জয় সরকারসহ নেতাকর্মীরা। এছাড়াও আহত হয়েছেন চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদসহ কয়েকজন সাংবাদিক।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী রমিজ উদ্দিন কানন জানান, মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধাকে রাষ্ট্রীয় সম্মানে বাঁধা দেওয়াসহ মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তান কমান্ড চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে মানববন্ধন আয়োজন করে। শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন চলাকালে সাংসদ মোস্তাফিজুর রহমানের অনুসারীরা মানববন্ধনে হামলা চালায়।
এদিকে হামলার তাৎক্ষণিক প্রতিবাদে নগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডার সাহাব উদ্দীনের নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করা হয়েছে। এসময় বক্তব্য রাখেন যুবলীগের সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ মাহমুদুল হক, নুরুল আজিম রনিসহ মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধ সংসদ সন্তান কমান্ডের নেতাকর্মীরা।
সমাবেশে সাংসদ মোস্তাফিজুর রহমানকে আওয়ামী লীগ ও সংসদ সদস্য পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়ার জন্য আওয়ামীলীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আহবান জানান।