লাদাখ সীমান্তে চীনের সঙ্গে ভারতের সংঘর্ষের পর থেকেই উত্তেজনা নিরসনে আলোচনা চলছে। আলোচনায় চীনা আগ্রাসনের সমাধান না হলে প্রয়োজনে সেনাবাহিনী দিয়ে অভিযান চালানো হবে। এজন্য ভারতের সেনাবাহিনীকেও ব্যাপারে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ভারতের চীফ অব ডিফেন্স স্টাফ (সিডিএস) বিপিন রাওয়াত হুঁশিয়ারি দিয়ে এ কথা বলেন।
আলোচনার বিকল্প পথের কথা উল্লেখ করে বিপিন রাওয়াত বলেছেন, শান্তিপূর্ণভাবে লাদাখের বিষয়টি মিটিয়ে নেওয়া চেষ্টা করা হচ্ছে। দু’দেশের মধ্যে যদি সেনাবাহিনী এবং কূটনৈতিক পর্যায়ের আলোচনা ব্যর্থ হয়, তাহলে সেনা অভিযানই বিকল্প পথ হিসেবে বেছে নেব আমরা।
সিডিএস রাওয়াত আরও বলেন, লাদাখ পরিস্থিতি নিয়ে কী ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া যায়, সেসব ব্যাপারে ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল পর্যালোচনা করছেন।
গালওয়ান থেকেই দু’দেশের মধ্যে শুরু হয়েছে সমস্যা। তারপর কয়েক মাস কেটে গেলেও পূর্ব লাদাখে সীমান্ত সমস্যার এখনো সমাধান হয়নি। গত দেড় মাস ধরে ভারত-চীনের মধ্যে সেনা এবং কূটনৈতিক পর্যায়ের একাধিক বৈঠকেও কোনো সুরাহা হয়নি।
চীনা সেনা সরিয়ে নেওয়ার কথা বললেও নতুন করে লাদাখের প্যাংগং, দেপসাং-সহ বিভিন্ন প্রান্তে চীনা বাহিনী ঢুকে পড়ার চেষ্টা করেছে। গত বৃহস্পতিবারও এক দফায় বৈঠক হয়েছে। সেই বৈঠক থেকেও কোনো আশাপ্রদ ফল পাওয়া যায়নি।
চীনের সেনাবাহিনী পূর্ব লাদাখ সীমান্তের বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখছে না। যদি সীমান্ত সংক্রান্ত কোনো প্রোটোকল চীন অমান্য করে তাহলে ভারতীয় সেনাবাহিনীর কড়া চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হবে তাদের।
অন্যদিকে সেনাবাহিনী জানিয়েছে, চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মি যেভাবে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা লঙ্ঘন করছে তা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া হবে না। খবর হিন্দুস্তান টাইমস।