কৌশলে ডেকে এক গৃহবধূকে (২৫) ধর্ষণ ও ধর্ষণের ভিডিও চিত্র ধারণ করে ব্লাকমেইল করার অভিযোগে বিদেশ ফেরত এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
যুবকের নাম আমানুল্লাহ ওরফে সবুজ (৩৬)। তিনি সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার কচুয়া গ্রামের আনারুল ইসলামের ছেলে।
২১ আগস্ট শুক্রবার পুলিশ ওই যুবককে গ্রেফতার করে ২২ আগস্ট শনিবার আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করে।
ওই গৃহবধূ জানিয়েছেন, আশাশুনি উপজেলার নাকনা গ্রামের এক দিনমজুরের সাথে পাঁচ বছর আগে তার বিয়ে হয়। বর্তমানে তার চার বছরের এক ছেলে আছে। অভাবের তাড়নায় স্বামী ভারতে কাজ করতে গিয়েছে। তবে করোনার কারণে বাড়ি ফিরতে পারেননি। এজন্য আমি ছেলেকে নিয়ে বাপের বাড়ি কচুয়ায় অবস্থান করছি। এই সুযোগে লেবানন ফেরত সবুজ আমাকে বিভিন্ন সময় কু’প্রস্তাব দিতো। ৩ মাস আগে সবুজ তার বন্ধুর মেয়ের মুখে ভাত অনুষ্ঠানে আমাকে নিমন্ত্রণ করে। সেখানে গেলে বন্ধুর বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে সবুজ আমাকে ধর্ষণ করে এবং ধর্ষণের চিত্র সবুজ মোবাইলে ধারণ করে। এরপর তার কথামতো না চললে ওই ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়।
দেড় মাস আগে একই গ্রামের বাপ্পি, আজাহারুল ও আব্দুল কাদেরকে সঙ্গে নিয়ে আমাদের বাড়িতে যায়। দরজা জানালা বন্ধ থানায় মোবাইলে সবুজ বলে যে দরজা খোল, যদি দরজা না খুলিস তবে এখনই তোর ভিডিও ইন্টারনেটে ছেড়ে দেব। এক পর্যায়ে দরজা খুলে দিলে ওই চারজন আমাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এরপর মোবাইল ফোন থেকে আমার ছবি ও ভিডিও ডিলেট করে। কিছুদিন পর সেই ছবি ও ভিডিও ইমোর মাধ্যমে তারা আমার কাছে আবারো পাঠায়। একপর্যায়ে ওই চারজনের কাছে আমি জিম্মি হয়ে পড়ি।
বাধ্য হয়ে বৃহস্পতিবার বিষয়টি আমি তার বাবা, মা ও ভ্যানচালক ভাইকে জানায়। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে আজাহারুল বৃহস্পতিবার রাতে আমার বাবা ও ভাইকে বাড়িতে ডেকে চারজন মিলে ব্যাপক মারপিট করেন। বেশি বাড়াবাড়ি করলে বা থানা পুলিশ করলে খুন করার হুমকিও দেন। কোনো উপায় না পেয়ে শুক্রবার সকালে আশাশুনি থানায় গিয়ে এজাহার জমা দেয়।
আশাশুনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গোলাম কবীর বলেন, এ ঘটনায় ওই নারী বাদী হয়ে চারজনকে আসামি করে থানায় একটি মামলা করেন। ওই মামলার প্রধান আসামি আমানুল্লাাহ ওরফে সবুজকে গ্রেফতার করে শনিবার আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।