টেকনাফে অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান পুলিশের গুলিতে নিহত হওয়ার ঘটনায় করা মামলায় রিমান্ডে থাকা ৭ আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদে ‘চাঞ্চল্যকর তথ্য’ পাওয়ার কথা জানায় র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন (র্যাব)।
১৯ আগষ্ট বুধবার রাতে র্যাব-১৫ কক্সবাজার ব্যাটালিয়ান দফতরে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে র্যাবের গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল অশিক বিল্লাহ সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
আশিক বিল্লাহ বলেন, ‘গ্রেফতারকৃত আসামিদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ, প্রত্যক্ষদর্শীর বক্তব্য, আলামতসহ সংশ্লিষ্ট সামগ্রিক কিছু নিয়ে এই মামলাটির তদন্ত কার্যক্রম এগিয়ে চলছে। রিমান্ডে থাকা আসামিরা চাঞ্চল্যকর ও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন। ৪ জন পুলিশ সদস্য এবং ৩ জন সাক্ষীর রিমান্ড শেষ হয়েছে। আগামীকাল তাদের আদালতে সোপর্দ করা হবে। পরবর্তীতে তদন্ত কর্মকর্তা রিমান্ডে আনার প্রয়োজন মনে করলে পুনরায় তাদের রিমান্ডে আনার জন্য আবেদন করা হবে। প্রাপ্ত তথ্য যাচাই-বাছাই করে তদন্ত কার্যক্রম আরও এগিয়ে নেয়া হবে। তবে তদন্তের স্বার্থে তাদের দেওয়া তথ্য আপাতত প্রকাশ করা যাবে না।’
লেফটেন্যান্ট কর্নেল অশিক বিল্লাহ বলেন, ‘হত্যা মামলাটি অত্যন্ত স্পর্শকাতর, গুরুত্বপূর্ণ ও তাৎপর্যপূর্ণ। তাই অত্যন্ত সতকর্তা, পেশাদারিত্ব ও গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত কার্যক্রম এগিয়ে নেয়া হচ্ছে। এই তদন্ত কার্যক্রম ইতিবাচকভাবে এগুচ্ছে। ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যে ধরনের খবর প্রকাশিত হয়েছে এমন সব ধরনের খবর, ফোনালাপ তদন্ত কর্মকর্তা আমলে এনেছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই হত্যা মামলার গুরুত্বপূর্ণ আসামি সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাস ও নন্দদুলাল রক্ষিতসহ গ্রেফতারকৃত আসামিদের রিমান্ড, জিজ্ঞাসাবাদ, প্রত্যক্ষদর্শীর বক্তব্য, আলামতসহ সংশ্লিষ্ট সামগ্রিক কিছু নিয়ে এই মামলাটির তদন্ত কার্যক্রম এগিয়ে চলছে।’
আশিক বিল্লাহ বলেন, ‘রামু থানায় নীলিমা রিসোর্ট থেকে উদ্ধার হওয়া ২৯টি উপকরণ জিডিমূলে সংরক্ষিত আছে। সিনহা এবং শিপ্রার ব্যবহৃত সকল ব্যক্তিগত ডিভাইস, ২৯টি উপকরণ তদন্ত কর্মকর্তা আগামীকাল গ্রহণ করবেন বলে আমরা আশা করছি।’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘গত ২৫ তারিখ থেকে থেকে ৬ আগস্ট তারিখ পর্যন্ত সময়ের টেকনাফ থানার সিসিটিভি ফুটেজ পাওয়ার জন্য আদালতের কাছে আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা। আদালত সেসব উপকরণ তদন্ত কর্মকর্তার হেফাজতে নেয়ার অনুমতি দিয়েছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে টেকনাফ থানা থেকে সিসিটিভি ফুটেজ চাওয়া হলে কারিগরি ত্রুটির কারণে ফুটেজ উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।’