সেতু-ব্রিজ-ফ্লাইওভারের মতো মহাসড়ক থেকেও টোল আদায়ের কথা ভাবছে সরকার। কীভাবে টোল নেওয়া যায়, সেই পরিকল্পনা করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।
পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছে, সবকিছু টোলমুক্ত হবে, তা ঠিক নয়। রাস্তাঘাট মেরামত, রক্ষণাবেক্ষণের খরচ যাতে টোলের টাকা থেকে আসে, সেই ব্যবস্থা করা যেতে পারে। প্রধানমন্ত্রী টোল নেওয়ার পক্ষে।’
মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান এক ভার্চ্যুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে এই একনেক সভা অনুষ্ঠিত হয়।
পরিকল্পনামন্ত্রী আরও জানান, ‘সড়ক ও জনপথ বিভাগের আওতায় সড়ক নির্মাণ ও মেরামতের কোনো প্রকল্পে বিশ্রামাগার তৈরির জন্য বরাদ্দ না রাখার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এর পরিবর্তে এক প্রকল্পের আওতায় সারা দেশে বিশ্রামাগার নির্মাণের পরামর্শ দেন তিনি।’
একনেক সভায় দুটি সড়ক প্রশস্তকরণ প্রকল্প অনুমোদনের জন্য উঠলে প্রধানমন্ত্রী এসব নির্দেশনা দেন বলে জানা গেছে।
বিশ্রামাগার নির্মাণ না করা সম্পর্কে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘যোগাযোগব্যবস্থা উন্নত ছিল না বলে ৬০-৭০ বছর আগে কোনো কর্মকর্তা এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় গেলে ওই দিন ফেরত আসতে পারতেন না। এ জন্যই সড়কের পাশে সরকারি উদ্যোগে বিশ্রামাগার তৈরি করা হতো। এখন যোগাযোগব্যবস্থা উন্নত হয়েছে। দিনে দিনেই বৈঠক করে কর্মস্থলে ফিরে আসতে পারেন। আজ একনেক সভায় তিন থেকে চার কোটি টাকা ব্যয়ে দুটি বিশ্রামাগার নির্মাণের বরাদ্দ কেটে দেওয়া হয়।’
এদিন একনেক সভায় সব মিলিয়ে ৩ হাজার ৪৬২ কোটি টাকার ৭টি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়। এর মধ্যে সরকার দেবে দুই হাজার ৬১৯ কোটি ৭৯ লাখ টাকা, বিদেশি ঋণ ৫৮১ কোটি ২০ লাখ এবং বিশ্ব ব্যাংকের অনুদান ২৬০ কোটি ৯৮ লাখ টাকা।