চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন বলেন, দেশের উন্নয়নের চাবিকাঠি প্রকৌশলীদের হাতে। তারাই উন্নয়নের কারিগর। নগরায়নের প্রতিটি ক্ষেত্রে তাদের অবদান আছে। উন্নয়ন প্রকল্প কত দ্রুত শেষ হবে, সেটিও তাদের উপর নির্ভর করে।
১৭ আগস্ট সোমবার বিকেলে নগরীর টাইগারপাসস্থ চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের নগরভবনে প্রকৌশল বিভাগের ৩ ও ৫ নম্বর ডিভিশনের সাথে বৈঠকে মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন এ কথা বলেন ।
চসিক প্রশাসক বলেন, নগরীতে চলমান উন্নয়নকাজ সময়মত শেষ করার ক্ষেত্রে প্রকৌশলীদের তদারকি বাড়াতে হবে। অফিসে অহেতুক সময় নষ্ট না করে রাস্তায় যেখানে উন্নয়নকাজ চলছে সেখানে সময় দেন। কাজের গুনগতমান পরীক্ষা করুন। কোন কোন ঠিকাদার কাজে গাফিলতি করছে তাদের তালিকা আমাকে দেন। কাজ আদায়ের ক্ষেত্রে আমি কাউকেই ছাড় দেব না।
তিনি বলেন, নগরীর যেসব সড়কে এখনো খানা-খন্দক রয়েছে সেগুলো জরুরি ভিত্তিতে ভরাট ও মেকাডম করে যান চলাচলের উপযোগী করাসহ যেসমস্ত চলমান প্রকল্প রয়েছে সেগুলোর সার্বিক চিত্রের ফাইল প্রশাসক বরাবরে হস্তান্তরের নির্দেশনা দেন। এছাড়াও যেসমস্ত উন্নয়ন প্রকল্প অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে সেগুলোর হালচিত্র তাঁকে তরিৎ অবগত করে তা বাস্তবায়নে পদক্ষেপ নেয়ার কথা উল্লেখ করেন।
তিনি আরও বলেন, আমাদের প্রতিটি অর্জনের পেছনে রয়েছে ত্যাগ। দেশের সমৃদ্ধিতে এ ত্যাগের ইতিহাস আমাদের পথ দেখাবে। দেশকে আমরা উন্নত ও সমৃদ্ধ করতে চাই। আমরা ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত সমৃদ্ধ দেশ গড়ে তুলতে পারব, ইনশাল্লাহ।’ আসুন, সবাই মিলে এ নগরীকে যেন উন্নত ও সুন্দর করে গড়ে তুলতে পারি সেভাবেই কাজ করি; জাতির পিতার স্বপ্নের ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলা গড়ে তুলি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- প্রধান প্রকৌশলী লে.কর্ণেল সোহেল আহমদ, প্রশাসকের একান্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল হাশেম, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিক, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মুনিরুল হুদা, কামরুল ইসলাম, আবু সালেহ, নির্বাহী প্রকৌশলী ফরহাদুল আলম ও আবু ছিদ্দিক।