জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কোয়ার্টার থেকে এক নারী চিকিৎসকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। লাশটি ওই চিকিৎসকের নিজের কক্ষের বিছানার ওপর পড়ে ছিল। ১৬ আগষ্ট রবিবার সন্ধ্যা ছয়টার দিকে কক্ষের দরজা ভেঙে লাশটি উদ্ধার করা হয়। তবে মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে তাৎক্ষিণকভাবে কোনো ধারণা দিতে পারেনি পুলিশ।
মারা যাওয়া ওই চিকিৎসকের নাম সুলতানা পারভীন (৩৭)। তিনি মেলান্দহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তার বাড়ি রাজশাহী বিভাগে। সুলতানা পারভীন অবিবাহিত ছিলেন। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কোয়ার্টারের ওই কক্ষে ডা. সুলতানা পারভীন একাই থাকতেন। তবে ছুটিতে তিনি ঢাকার মোহাম্মদপুরের একটি আবাসিক এলাকায় নিজের ফ্ল্যাটে থাকতেন বলে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে।
পুলিশ ও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্র জানায়, শনিবার রাত নয়টা থেকে রবিবার বিকেল পর্যন্ত সুলতানা পারভীনকে কেউ দেখেননি। সকাল থেকে তিনি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেও যাননি। বিকেলের দিকে সবার সন্দেহ হয়। পরে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. ফজলুল হকসহ কয়েকজন চিকিৎসক ওই কোয়ার্টারে যান। তারা কক্ষের দরজায় অনেক ডাকাডাকি করেও ভেতর থেকে কোনো সাড়াশব্দ পাননি। পরে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ কক্ষের দরজা ভেঙে ওই চিকিৎসকের লাশ উদ্ধার করে।
মেলান্দহ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. ফজলুল হক বলেন, সুলতানা পারভীন কোয়ার্টারের ওই কক্ষে একাই থাকতেন। শনিবার তার সাপ্তাহিক ছুটি ছিল। তবে তিনি জামালপুর শহরের বেসরকারি হজরত শাহজামাল (রহ.) জেনারেল হাসপাতালে রোগী দেখেছেন। রাত নয়টার দিকে ওই হাসপাতালের গাড়িতে করে তাকে কোয়ার্টারে নামিয়ে দিয়ে যাওয়া হয়। এরপর থেকে তাকে আর কেউ দেখেননি।
তিনি বলেন, রবিবার সন্ধ্যায় কক্ষের দরজা ভেঙে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে। তার লাশ বিছানার ওপর পড়ে ছিল। মুখমণ্ডল অনেক কালো ছিল।
মেলান্দহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রেজাউল ইসলাম খান বলেন, কক্ষের দরজা ভেঙে পুলিশ ভেতরে প্রবেশ করে ওই চিকিৎসকের লাশ বিছানায় পড়ে থাকা অবস্থায় পায়। লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পরই তার মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।