প্রায় ৮ মাস ধরে বৈম্বিক মহামারী করোনা ভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করছে বিশ্ব। সময়ের ব্যবধানে একেক জায়গায় একেক রকম আচরণ করছে এই ভাইরাসটি। প্রথমে চীন, এরপর ইরান, ইউরোপ ও আমেরিকার পর এবার করোনার অন্যতম হটস্পট হয়ে উঠেছে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো।
ইতোমধ্যেই দক্ষিণ এশিয়ার সংগঠন সার্কভুক্ত দেশ বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, ভুটান, নেপাল ও আফগানিস্তানে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন কমপক্ষে ৩২ লাখ ২৫ হাজার ৮৮২ জন, মৃত্যু হয়েছে ৬১ হাজার ৩৯৭ জনে।
তবে আক্রান্ত ও মৃত্যুর দিক দিয়ে সবচেয়ে ভয়াবহ অবস্থা ভারতের। দেশটিতে আক্রান্ত হয়েছেন কমপক্ষে ২৫ লাখ ৯০ হাজার ৫০১ জন। মারা গেছেন কমপক্ষে ৫০ হাজার ৯৯ জন। ভারতের পরেই সবচেয়ে খারাপ অবস্থা পাকিস্তানের। সেখানে আক্রান্ত হয়েছেন দুই লাখ ৮৮ হাজার ৭১৭ জন। মারা গেছেন ৬ হাজার ১৬৮ জন।
আর সবচেয়ে ভাল অবস্থায় আছে শ্রীলঙ্কা। সেখানে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী আক্রান্ত হয়েছেন মোট ২৮৯০ জন। মারা গেছেন মাত্র ১১ জন।
ভয়াবহতার দিক দিয়ে তৃতীয় অবস্থানে আছে বাংলাদেশ। এখানে শনিবারের তথ্য অনুযায়ী আক্রান্ত হয়েছেন দুই লাখ ৭৪ হাজার ৫২৫ জন। মারা গেছেন ৩ হাজার ৬২৫ জন।
দক্ষিণ এশিয়া তথা সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে প্রথম করোনা ভাইরাস ধরা পড়ে নেপালে। ৫ই জানুয়ারি চীন থেকে ফেরা এক ব্যক্তির দেহে প্রথম করোনা শনাক্ত হয় ২৩ শে জানুয়ারি। ২ জুলাই দক্ষিণ এশিয়ার প্রতিটি দেশে কমপক্ষে একজন করে করোনা রোগী শনাক্ত হয়।
কয়েক মাসের ব্যবধানে আক্রান্তের দিক দিয়ে চীনকে টপকে যায় বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তান। মধ্য মে’তে চীনকে এ হিসাবে টপকে যায় প্রথম দক্ষিণ এশিয়ার দেশ হিসেবে ভারত। এরপর দ্বিতীয় দেশ হিসেবে পাকিস্তান চীনকে টপকে যায়। ১৩ই জুন চীনকে টপকে তৃতীয় দেশ হয় বাংলাদেশ।
বাংলাদেশে মার্চে বিস্তার শুরু হয় করোনা ভাইরাসের। ৭ই মার্চ আইইডিসিআর দেশে প্রথম তিনজন করোনা আক্রান্ত শনাক্ত করে। ২৯ মার্চ পর্যন্ত বাংলাদেশ সরকার মোট পরীক্ষা চালায় ১০৯৫ জনের নমুনা। তাতে মোট ৪৮ জন করোনা শনাক্ত হন। সুস্থ হন ১৫ জন। মারা যান ৫ জন। ২২ মার্চ বাংলাদেশে ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত শাটডাউন ঘোষণা করে। এর পর থেকে প্রতিদিনই সংক্রমিতের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। মৃত্যুর মিছিলে যোগ হচ্ছে নতুন নতুন সংখ্যা। এখনও এখানে বন্ধ রয়েছে স্কুল কলেজ। তবে সীমিত পরিসরে খুলেছে অন্য সব প্রতিষ্ঠান, সরকারি অফিস।