বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের চাকরি জাতীয়করণের দাবিতে আগামী ২৩ আগস্টের পরে যেকোনও দিন ঢাকায় মহাবস্থানের ঘোষণা দিয়েছে শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যজোট।
১১ আগস্ট মঙ্গলবার পল্টনে ঐক্যজোটের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়া।
লিখিত বক্তব্যে অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়া বলেন, ‘বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের চাকুরি জাতীয়করণের দাবিতে আমরা সরকারকে বহুবার আল্টিমেটাম দেয়া সত্ত্বেও সরকার আমাদের দাবির প্রতি সামান্য সহানুভূতিশীল হননি। এমনকি আমাদের সাথে কোনও প্রকার আলোচনার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেনি। তাই বাধ্য হয়ে আমরা আগামী ২৩ আগস্টের পর যেকোনও দিন ঢাকায় মহাবস্থানের ঘোষণা দিচ্ছি।’
সেলিম ভূঁইয়া বলেন, ‘বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের চাকুরি জাতীয়করণের ঘোষণা না দেয়া পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। প্রয়োজনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে তালা ঝুলানোর ঘোষণাও দিতে বাধ্য হবো।’
তিনি আরও বলেন, ‘সরকারি স্কুল-কলেজের ছাত্রদের যে সিলেবাস বেসরকারি স্কুল-কলেজের ছাত্রদেরও একই সিলেবাসে পড়ানো হয়। কিন্তু তাদের পূর্ণাঙ্গ উৎসব ভাতা ও বাৎসরিক ইনক্রিমেন্ট দেয়া হয়। আমাদের বেসরকারি শিক্ষকদের বেতন স্কেলের ২৫% ও কর্মচারীদের ৫০% উৎসব ভাতা দেয়া হয়। বেসরকারি স্কুল-কলেজ ও মাদরাসার শিক্ষকদের সাথে এটি সম্পূর্ণ বিমাতাসুলভ আচরণের বহিঃপ্রকাশ।’
অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়া দাবি জানিয়ে বলেন, ‘রাজনীতির গুণগত পরিবর্তন করতে হলে মহান জাতীয় সংসদের শিক্ষকদের জন্য আসন সংরক্ষিত থাকতে হবে। বর্তমানে রাজনৈতিক দলগুলো রাজনীতির বাইরে থেকে যে সকল ব্যক্তিদের দলে টেনে নিয়ে আসেন তাদের মধ্যে এমন ব্যক্তিও আছে যারা কেউ কেউ স্কুলের গণ্ডি পার হতে পারেনি।’
সেলিম ভূঁইয়াঅভিযোগ করে বলেন, ‘বর্তমানে যে হারে শিক্ষকরা নির্যাতিত হচ্ছেন এবং চাকরি হারাচ্ছেন তা ভাষায় বর্ণনা করা যায় না। রাজনৈতিক দলের লোকেরা অর্থের বিনিময় বেসরকারি স্কুল কলেজ ও মাদ্রাসায় অযোগ্য ব্যক্তিদের চাকরি দিচ্ছেন। এই অবস্থা থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে রক্ষা করতে হলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের চাকুরী জাতীয়করণ করতেই হবে।’
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, সংগঠনের কো-চেয়ারম্যান মাওলানা মোঃ দেলোয়ার হোসেন, অতিরিক্ত মহাসচিব মোঃ জাকির হোসেন, প্রিন্সিপাল আব্দুর রহমান, সদস্য অধ্যাপক কাজী মোঃ মাইন উদ্দিন, অধ্যাপক রকিবউদ্দীন, অধ্যাপক মনোয়ার হোসেন রানা, অধ্যাপক রাশেদ, কামরুজ্জামান মিজান, সিরাজুল আলম, মতিউর রহমান ও সোলায়মান চৌধুরী প্রমুখ।