বর্তমান খুলনার আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির বিষয় নিয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, খুলনা মহানগর শাখার নেতৃবৃন্দরা খুলনা মেট্রোপলিটন সদর দপ্তরে। কেএমপি’র পুলিশ কমিশনার মোঃ মোজাম্মেল হক, বিপিএম (বার) পিপিএম-সেবা মহোদয় এবং কেএমপি’র আওতাধীন বিভিন্ন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের সাথে এক সৌজন্য সাক্ষাৎকারে মিলিত হন। এ সময়ে ঈশা আন্দোলনের খুলনা মহানগরের নেতৃবৃন্দরা বলেন, স্বৈরশাসক সরকার পতনের পর আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভেঙে পড়েছে। থানা পুলিশের ওপর হামলার ঘটনার পাশাপাশি আমরাও নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে আজ উদ্বিগ্ন রয়েছি। এমন পরিস্থিতির কারণে প্রশাসন ও অন্যান্য সেক্টরেও চলছে চরম অস্থিরতা। বর্তমান অন্তবর্তী কালীন সরকারের ওপর দেশের বৃহৎ জনগোষ্ঠীর সমর্থন রয়েছে শতভাগ। দীর্ঘ বছর ধরে যে সমস্ত অনিয়ম, অবিচার ও সংকট তৈরি হয়েছিল সে সমস্ত অনিয়ম নিরসনের পাশাপাশি স্বৈরাচার সরকারের যারা দালাল হিসেবে প্রশাসনে ব্যবহার করেছে তাদের অপসারণ করতে হবে। নেতৃবৃন্দরা এ সময়ে আরও অভিযোগ করে কেএমপি’র কমিশনারকে বলেন, বাংলাদেশের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর ওপর দেশের সাধারণ জনগণের অনাস্থা রয়েছে দীর্ঘদিনের। নানা কারণে জনমনে তাদের ওপর ক্ষোভও রয়েছে। যারই তীব্র বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে এবারের আন্দোলনে। ফলে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর ওপর সাধারণ মানুষের আস্থা অচিরে ফিরিয়ে আনতে হবে। তবে প্রাথমিকভাবে সারা দেশে লুটপাট, হামলাসহ বিভিন্ন ধরনের অপ্রত্যাশিত ঘটনা থেকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে আমাদের সকল ভেদাভেদ ভুলে একসাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দেশের স্বার্থে সর্বাত্মকভাবে কাজ কাজ করে যাওয়ার জন্য প্রশাসনের প্রতি আকুল আহ্বান জানাচ্ছি। প্রশাসনের প্রতি ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নেতৃবৃন্দেরা বিভিন্ন উপাসনালয় সুরক্ষায় ও ট্রাফিকদের কাজেরও এ সময়ে ভূয়সী প্রশংসা করেন। কেএমপি’র কমিশনার মোঃ মোজাম্মেল হক, এর সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎকারে এ সময়ে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমীর ও খুলনা নগর সভাপতি হাফেজ মাওলানা আব্দুল আউয়াল, নগর সহ-সভাপতি শেখ মোঃ নাসির উদ্দিন, আলহাজ্ব আবু তাহের, জয়েন্ট সেক্রেটারি প্রভাষক আবু গালিব, আলহাজ্ব আমজাদ হোসেন, মোল্লা রবিউল ইসলাম তুষার, মোঃ ফেরদৌস গাজী সুমন, আলহাজ্ব আব্দুস সালাম, আলহাজ্ব মোহাম্মদ মমিনুল ইসলাম, আলহাজ্ব মোঃ কবির হোসেন, ইসলামী যুব আন্দোলনের নগর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ মমিনুল ইসলাম নাসিব, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন নগর সভাপতি মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন। এছাড়াও এ সময়ে বিভিন্ন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের সাথে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন, ইসলামী যুব আন্দোলন ও ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দরা পৃথক পৃথক সাক্ষাৎকারে মিলিত হন।