আফ্রিকার বাইরে ছড়িয়ে পড়ছে এমপক্স (মাঙ্কিপক্স) ভাইরাসের সংক্রমণ। গত সপ্তাহে ইউরোপের দেশ সুইডেনে এমপক্সের রোগী শনাক্ত হয়। পাকিস্তানেও এমপক্সের তিন রোগী পাওয়া গেছে। এমন পরিস্থিতি বিশেষ নির্দেশনা এবং হটলাইন চালুর উদ্যোগ নিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এমপক্সের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে গত ১৪ আগষ্ট বিশ্বব্যাপী জরুরি অবস্থা জারি করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিইএইচও)। গতকাল শনিবার অধিদপ্তরের পাঠানো এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘এমপক্স (মাঙ্কিপক্স) মাঙ্কিপক্স ভাইরাস দ্বারা সৃষ্ট একটি সংক্রামক রোগ। এতে বেদনাদায়ক ফুসকুড়ি, লিম্ফ নোড ফুলে যাওয়া এবং জ্বর হতে পারে। মধ্য আফ্রিকার কঙ্গো, বুরুন্ডি, রুয়ান্ডা, উগান্ডা ও কেনিয়াসহ বিশ্বের অনেক দেশে ছড়িয়ে পরেছে’। এতে আরো বলা হয়, ‘আপনার শরীরে এর লক্ষ্মণ দেখা দিলে অথবা আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে এলে, অথবা সংক্রমিত দেশ ভ্রমণের ২১ দিনের মধ্যে এই লক্ষ্মণ দেখা দিলে ১৬২৬৩, ১০৬৫৫ নম্বরে যোগাযোগ করুন।’ দ্য আফ্রিকা সেন্টার ফর ডিজিস কন্ট্রোল এন্ড প্রিভেনশনের তথ্যমতে, চলতি বছরের শুরু থেকে জুলাই পর্যন্ত ১৪ হাজার ৫০০ মানুষ ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়েছে। এ সময় অন্তত ৪৫০ জনের মৃত্যু হয়। বুরুন্ডি, সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিকান, কেনিয়া এবং রুয়ান্ডাতেও এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে। পরিসংখ্যানে উঠে এসেছে, গতবছরের একই সময়ের তুলনায় এমপক্স ভাইরাসে আক্রান্তের হার বেড়েছে ১৬০ শতাংশ। আর মৃত্যুর হার বেড়েছে ১৯ শতাংশ। ফলে ভাইরাসটির উচ্চ মৃত্যুহার নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হচ্ছে।