স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম. সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, পনের আগস্টে নিরাপত্তা রক্ষায় পর্যাপ্ত আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন থাকবে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিজিবি) হাসপাতালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে আহত বিজিবি সদস্যদের দেখতে গেলে ১৫ আগস্ট সম্পর্কিত সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। আজ বিকেলে আমরা বসবো, সেখানে আলোচনা হবে। আমরা সেদিন সব ধরনের নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করব। ওই দিনের নিরাপত্তায় পুলিশ থাকবে, বিজিবি-র্যাব থাকবে। হয়তো সেনাবাহিনীও থাকবে।’
সীমান্তে বিজিবি আর পিঠ দেখাবে না। অনেক হয়েছে ! সেই দিন চলে গেছে উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের এই ফোর্সগুলোকে দানব বানোনো হয়েছে। যারা বানিয়েছে তাদের আমি পারি আর না পারি, আমি তাদের আন্তর্জাতিক আদালতে নিয়ে যাব। তারা কত লোক মেরেছে, প্রতিটি প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করেছে। বিজিবির মতো একটা ফোর্সকে পিঠ দেখাতে বলেছে বর্ডারে।’
এম. সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘পুলিশ, আনসার, র্যাব, বিজিবি, সেনাবাহিনী এগুলো ন্যাশনাল ফোর্স, এটা কারও পারসোনাল ফোর্স না। আমি মনে করি, আই উইল ট্রাই টু ব্রিং দেম অন টু দ্য জাস্টিস। দেশে এবং দেশের বাইরে, সে যত বড়ই হোক। আমার হাতে যদি পড়ে, আই উইল স্ট্রেট পুট দেম ইনটু দ্য জেল। আমরা ইতোমধ্যে কিছু কিছু অ্যাকশনে গেছি পুলিশের ভেতরে, যারা পুলিশকে দানব বানিয়েছে। আপনারা মনে করবেন না, আমি শুধু আপনাদের সঙ্গে পেপটক করি। দিস পার্টি ওয়ার্স্ট অ্যান্ড ফ্যাসিস্ট পার্টি। এক্সাক্টলি হোয়াট দ্য ফ্যাসিস্ট ডিড। যাদের বর্ডার রক্ষা করার কথা, তাদের বলে পিঠ দেখাও। নো মোর। ইনশাল্লাহ, ইট ইজ নট গোয়িং টু বি এনি মোর।’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘একটি সরকারি প্রসেসের মধ্যে কাজ হচ্ছে। আমি আপনাদের আশ্বস্ত করতে পারি, রাষ্ট্রপতির কাছে আমাদের কিছু সুপারিশ চলে গেছে। আমি নাম বলব না এই মুহূর্তে। তারা উন্মুক্ত থাকবে কি থাকবে না সেটা নিয়ে আলোচনা হবে।’
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘আমার আশ্বাসে পুলিশ মাঠে নেমেছে। পুলিশ নিজেরা বলেছে, আমরা লজ্জিত। যখন আমি বললাম, আপনাদেরই একজন বাপ ছেলে মৃত্যুর পরে বলছে কয়টা বুলেটে একটা ছেলে মারা যায়। অনেক পুলিশ সদস্য বলেছেন, আমরা ওই পথে যাইনি এজন্য আমাদের সরিয়ে দিয়ে বিভিন্ন কারণে চাকরিচ্যুত করেছে। আমি তাদের আশ্বাস দিয়েছি যে, উই উইল সি, উই উইল ব্রিং দেম ব্যাক।’
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘চিন্তা করবেন না, পুলিশ খুবই অনুতপ্ত। এদের যারা দানব বানিয়েছে, আমি আবার বলছি, উইল নট লিভ দেম। একটু সবুর করেন, একটি সরকারি অ্যাকশন নিতে গেলে কতগুলো প্রসেস আছে। টপ টপ করে করা যায় না। তার পরে দেখবেন, তিন বছর আবার চলে আসছে। আমরা এখন বের করার চেষ্টা করছি হুকুমের আসামি। পুলিশ বলছে, এই ইউনিফর্ম পরে আমরা এক দিনের জন্য বের হতে চাই না।’ এ সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের পুলিশের পোশাক ও ব্যাজের নতুন ডিজাইন দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, টিভিতে আগুন দেওয়া হয়েছে। এখন শোনা যাচ্ছে, ভেতর থেকে নাকি লাগানো হয়েছে। এখন পর্যন্ত জানা গেলো না, কারা আগুন লাগিয়েছে। টিভির সম্প্রচারে যারা আছেন, তারা ইনকুয়ারি করেন। কারা লাগিয়েছে।