শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত হয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এ সরকারের মেয়াদ এখনো ঠিক হয়নি বলেই জানিয়েছেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
শুক্রবার শহিদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি বলেন, এ (মেয়াদের) বিষয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। আমাদের যেহেতু গণঅভ্যুত্থানের ভিত্তিতে গঠিত একটি সরকার এবং অনেকগুলো সংস্কারের কথা আমরা বলেছি, সেগুলো আমাদের সংস্কার করতে হবে।
নবীন এ উপদেষ্টা বলেন, যত দ্রুত সময়ের মধ্যে সম্ভব, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে একটি সুন্দর সুশৃঙ্খল ব্যবস্থার মধ্যে নিয়ে আসতে হবে। এরপরই সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করে এ সরকারের মেয়াদ শেষ করব।
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে নাহিদ ইসলাম ও আসিফ মাহমুদ সজিব ভূঁইয়াদের নেতৃত্বে আন্দোলন শুরু হয়।
ওই আন্দোলন একসময় সরকার পতনের আন্দোলনে পরিণত হয়। গত ৫ অগাস্ট গণআন্দোলনের মুখে আওয়ামী লীগের টানা চতুর্থ মেয়াদের সরকারের পতন হয়। এর চার দিনের মাথায় গঠিত হয় অন্তর্বর্তী সরকার। যে সরকারে আছেন নাহিদ ইসলাম ও আসিফ মাহমুদ। বৃহস্পতিবার প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসসহ ১৪ উপদেষ্টা শপথ নেন।
আসিফ মাহমুদ বলেন, প্রাথমিকভাবে দেশের আইনশৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা এবং আন্দোলনের দাবিগুলো বাস্তবায়ন করা অন্তর্বর্তী সরকারের মূল উদ্দেশ্য থাকবে। সেক্ষেত্রে প্রায়োরিটি ভিত্তিতে গত আন্দোলনে যারা হত্যার সঙ্গে জড়িত, তাদের বিচার এবং শাস্তি নিশ্চিত করাটাই আমাদের প্রথম দায়িত্ব থাকবে এবং পাশাপাশি আমাদের আহত অনেকেই হাসপাতালের বেডে কাতরাচ্ছেন তাদের চিকিৎসা নিশ্চিত করব, শহিদদের মর্যাদা রাষ্ট্রীয়ভাবে দেওয়ার জন্য আমরা পদক্ষেপ নেব।
তিনি আরও বলেন, আমরা যেসব দাবি নিয়ে এ আন্দোলন করেছিলাম, সেগুলো পূর্ণাঙ্গভাবে বাস্তবায়ন করতে সক্ষম হব আশা করি।
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর হল বাণিজ্য ও হল দখলের বিষয়ে করা এক প্রশ্নে আসিফ বলেন, আমরা দীর্ঘ ৫/৬ বছর ক্যাম্পাসে সেগুলো নিয়ে কাজ করেছি। আমাদের নিজেদের সুস্পষ্ট দাবি আছে। এখন যেহেতু আমরা সরকারে, সেগুলো সর্বোচ্চ দ্রুত সময়ের মধ্যে বাস্তবায়নের জন্য পদক্ষেপ নেব।
এর আগে এদিন সকালে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানান প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস ও অন্তর্বর্তী সরকারের ১৩ উপদেষ্টা। এরপর কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে গিয়ে শ্রদ্ধা জানান তারা।
এ সময় আসিফ মাহমুদ বলেন, আমাদের এক দফার ঘোষণা হয়েছিল এই শহিদ মিনার থেকেই। আমাদের স্বাধীনতার শুরুর দিকের লড়াইয়ের একটি প্রতীক এই শহিদ মিনার। সেই মাহাত্ম্যের জায়গা থেকে আমরা শহিদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেছি।