বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. দীন মো. নূরুল হক বলেছেন, আমরা শান্তির স্বপক্ষে সন্ত্রাসীর বিপক্ষে। আমরা বাংলাশেকে ভালোবাসি, বাংলাদেশের মানুষকে ভালোবাসি, অব্যাহত উন্নয়নকে ভালোবাসি, স্বাধীনতাকে ভালোবাসি। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যৌক্তিক দাবি আমরা সমর্থন করি। ছাত্রদের প্রায় সব দাবি মেনে নেওয়া হয়েছে। বাকী দাবিগুলো বাস্তবায়ন করার জন্য ধৈর্য্য ধরতে হবে। সরকারকে একটু সময় দিতে হবে।
তিনি বলেন, আমরা চাই দেশে শান্তি ফিরে আসুক। কিন্তু কোমলমতি ছাত্রছাত্রীদের আন্দোলনের উপর ভর করেছে অশুভ শক্তি। এই অশুভ শক্তি সর্বত্র উন্নয়নে ভরপুর দেশটাকে ক্ষতবিক্ষত করেছে। আমরা তা চাই না। আমরা চাই শান্তি, প্রগতি, উন্নয়ন ও জীবনের নিরাপত্তা। সকল মানুষকে নিয়ে শান্তি-সম্প্রীতি ও সোহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে বাঁচতে চাই।
শনিবার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে চিকিৎসক, কর্মকর্তা, নার্স ও কর্মচারীদের উদ্যোগে আয়োজিত শান্তি সমাবেশে উপাচার্য এসব কথা বলেন। স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সাবেক মহাসচিব অধ্যাপক ডা. এম এ আজিজ বলেন, শিক্ষার্থী হতাহতের ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। যারা নিহত তাদের স্বজনদের দায়িত্ব নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা। এই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী ছাত্রছাত্রীরা স্পষ্ট করে বলেছেন- আন্দোলনকে কেন্দ্র করে যারা সহিংসতা করেছে, ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ করেছে- এরা এসবের সঙ্গে জড়িত ছিলেন না। এই আন্দোলন তাদের আন্দোলন নয়। কোমলমতি শিক্ষার্থীরে আন্দোলন ছিনতাই হয়ে গেছে। তাদের মূল দাবি আগেই মানা হয়েছে। তাদের পরবর্তী দাবিগুলোও মেনে নেয়া হয়েছে। যারা আটক ছিলেন তাদের ছেড়ে দেয়া হয়েছে। যারা উচ্চ মাধ্যমিকের পরীক্ষার্থী ছিলেন তাদেরও ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
শিক্ষার্থীদের ঘরে ফিরার আহ্বান জানিয়ে তিনি আরও বলেন, যেহেতু তাদের দাবিগুলো মেনে নেয়া হয়েছে, তাদের নেতৃবৃন্দ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও সরকারের সাথে আলাপ আলোচনা করে হলে ওঠুক। বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার পরিবেশ সৃষ্টি করুক। আমাদের সন্তানতুল্য প্রিয় শিক্ষার্থীরা আমরা চিকিৎসক, আমাদেরও তোমাদের মত সন্তান আছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দুয়ার তোমাদের জন্য খোলা আছে। তোমরা ঘরে ফিরে আসো। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী তোমাদের বেশ আন্তরিক।
শান্তি সমাবেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মাহামুদ হাসান, সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ডা কনক কান্তি বড়ুয়া, উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মনিরুজ্জামান খান, স্বাচিপের সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ডা. এম ইকবাল আর্সলান, সাবেক মহাসচিব অধ্যাপক ডা. এম এ আজিজ, বিএসএমএমইউর রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল হান্নান, ডিন অধ্যাপক ডা. আবু নাসার রিজভী, ডিন অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ হোসেন, অধ্যাপক ডা. আহসান হাবিব হেলাল, অধ্যাপক ডা. লায়লা আনজুমান বানু, অধ্যাপক ডা. নাজির উদ্দিন মোল্লাহ, ডা. আরিফুল ইসলাম জোয়াদার টিটো, ডা. জাকির হোসেন সুমন, ডা. নিরুপম চৌধুরী, ডা. জাহান শামস নিটল, ডা. শারমিন আক্তার সুমি, ডা. শাহনেওয়াজ বাড়ি, ডা. এহসানুল কবির সুমন, ডা. তুষার এনায়েতসহ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরসহ বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজ ও প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, চিকিৎসক, কর্মকর্তা, নার্স ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।